কি-ই বা পারি?
কি-ই বা পারে কেউ?
কেউ বলছে দুনিয়া জুড়ে মহানের বাস
কেউ বলছে দুনিয়ার পায়ে দাসত্বের বেড়ি পরাবেই, আগেকার মত
তবে কী যারা সব দ্বন্দ কাটিয়ে নেশায় চুর সংজ্ঞাহীন তারাই এ অক্ষমতাকে ঠিক-ঠাক বুঝল?
নাকি যারা ক্ষমতামত্ত দাসত্বপাশ কেটে পায়ে পায়ে ফিরে গেল পরিবারে মরুজয় করে
কোনো স্লোগান নয়, ব্লগ নয়, কাব্য নয়, অদৃষ্টানত মেনে নিচ্ছে, “কপাল জোরে বেঁচে গেছি এবার!”
তারাই বুঝল জীবনের মানে, বেঁচে থাকার সুখ?
দিন শেষে ভ্রূ কুঁচকে শোনা “বড়ো সুখে দিন কাটাইতাম”
কিংবা চোখের জলে ভাসা বদ্ধ খাঁচার অচিনপাখির গান
কিংবা ফাহিতা আর মশলা দোসা আর সেমাই-এর পায়েসটুকুতে সুখ?
নাকি টানেও সুখ, দানেও সুখ - সুখ সবটুকুতে?
এই কোনটা বড়ো, কোনটা আগে, কোনটা ভালো ভাবার থেকে
কিংবা না ভেবে পালানোর থেকে নিস্তার কী নেই?
নিস্তার কী নেই ভাবুকের কথাকারি থেকে কিংবা নির্বোধের নৈঃশব্দ থেকে?
দখল, শাসন, বিভাজন, বিপ্লব, দখল শাসন বিভাজন হনন, কর্তন, মর্দন, পীড়ন, ধর্ষণ, দখল -
তবু তো ফুল ফোটে, সূর্য ওঠে, তারে সুর লাগে, কেউ কেউ একছুটে মরু পেরিয়ে ফিরে যায় মায়ের বুকে
যে মারছে মারুক, যে মরছে মরুক, যে বকছে তাই নিয়ে, বকুক গে যাক
যারা ফুলের ছবি, জিরাফের ছবি আঁকছে আঁকুক, যে গাইছে সে গান গাক
আমিও দেখতে থাকি যতদূর দেখা যায়, শুনতে থাকি যতটুকু শোনা যায়
মাপজোপ সব ছেড়ে পঞ্চেন্দ্রিয়ে বুঝে নি বরং সুখদুঃখ
যতক্ষণ পারি,
এটুকুই তো পারা যায়,
এটুকুই তো পারি।