“খরচা কমান ভালো থাকুন”
এ সবের শুরু একটা মাত্র ধারণা থেকে, “কাস্টমার ইস বস”। অর্থাৎ ক্রেতাই কর্তা। এটাই স্লোগান দোকানের কর্মচারীদের জন্য। শূণ্য অভিযোগের লক্ষ্যে অখুশি ক্রেতাকে জিনিসের বদলে জিনিস বা পয়সা ফেরত দেওয়ার এই ব্যবস্থায় ওয়ালমার্ট চলছে ১৯৬২ সালে শুরুর দিন থেকে।
ওয়ালমার্টের প্রথম দোকান ছিল রজার্সে। রজার্সের পশ্চিমে বেন্টনভিল নামে এক ছোট্টো শহরে ওয়ালমার্টের সদর কার্যালয়। এই শহর অ্যারক্যানস (Ar-kan-saw, উচ্চারণ) প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে কানসাস, মিসৌরি আর ওকলাহামা রাজ্যের লাগোয়া। বেন্টনভিল শহরের মূল দুই রাস্তার দৈর্ঘ্য সাকুল্যে পাঁচ মাইল। এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেন্টন কাউন্টির বিচারালয়। সেই বিচারালয়ের সামনে বাগান আর ফোয়ারায় সাজানো ডাউনটাউন স্কোয়ার।
ডাউনটাউন স্কোয়ারের অপর দিকে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনস ফাইভ অ্যান্ড ডাইম স্টোর। এই দোকানের লক্ষ্য ছিল মার্কিন মফস্বলের খেটে খাওয়া মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সস্তায় বিক্রি করে তাঁদের সাশ্রয় করতে সাহায্য করা। যাতে তাঁরা নিত্য ব্যবহার্যের প্রয়োজনের বাইরেও ভালো থাকার অন্য ব্যবস্থায় খরচ করতে পারেন। সেই দোকানটাই আজকের ওয়ালমার্ট ভিজিটরস সেন্টর আর মিউজিয়াম।
যান্ত্রিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার থেকে সেকালের বেন্টনভিল ডাউনটাউন স্কোয়ারের ছবি ও পেন্টিং, প্রাইসট্যাগ ছাপার যন্ত্র, সেকালের কোকাকোলার বোতল, বিড়ালের খাবারের প্যাকেট, কাগজের ঠোঙা এমনকি ক্রেতাদের ফেরত দেওয়া কিছু জিনিসপত্রও ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে। ব্যক্তিগত ব্যবহার্যের মধ্যে রয়েছে স্যাম ওয়ালটনের পাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। আরও রয়েছে স্যাম ও তাঁর স্ত্রী হেলেনের বিয়েতে হেলেন যে গাউনটি পরেছিলেন সেটি, স্যামের ব্যবহৃত পিক আপ ট্রাক, টেপ রেকর্ডার, লেখার প্যাড, তাঁর আপিস ঘরটি।
(চলবে)