Thursday, December 5, 2024

Chapter 1 - ভালো খবর



নাটালি দরজার গায়ে লাগানো তালায় চাবি গুঁজলো। আর অমনি ওর সেলফোনটা বাজতে শুরু করল। চাবি ঘুরিয়ে তালা আর খোলা হলো না। ধুপধাপ করে নেমে এলো সিঁড়ি দিয়ে।

মায়ের ফোন এসেছে। মায়ের ফোনের রিংটোন আলাদা। তাই ফোনটা বাজছে শুনতে পেলেই বোঝা যায় যে মা ফোন করেছেন।

ফোনটা নাটালি রাখে ব্যাগের সব থেকে বাইরের পকেটে। আজ ওর দাদা এডউইন ওর সেলফোনটা পিঠব্যাগের বাইরের খাপ থেকে তুলে নিয়েছে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার আগেই। আর সেটাকে তখনই ফেলে দিয়েছে জবাগাছের ডালপালার ঝোপে।

কথাটা নাটালি জানতেই পারত না যদি না মায়ের ফোন আসত।

এডউইন যদিও ঘ্যান ঘ্যান করছে এখন, আমি তো ওটা গাছের মাথায় রেখেছিলাম... তাহলে কী বেড়ালটা ঝাঁপিয়েছে ওখানে আর ফোনটা গড়িয়ে গেছে ঝোপের মধ্যে! 

অন্যদিন নাটালি, এডউইন আর ওদের ছোটো বোন অ্যাশলি একসাথেই ফেরে মায়ের সাথে। যেদিন যেদিন মা আপিস থেকে বেরিয়ে ইউনিভার্সিটি যান, সেদিন সেদিন অ্যাশলিকে মাসি টেরেসা নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। এডউইন আর নাটালি ফেরে ইস্কুল বাসে। ওদের সবথেকে বড়ো বোন প্রিসিলা থাকে দিদার বাড়িতে, পোমোনায়। তার হাইস্কুল শেষ হলেই সে আসবে বাকি ভাইবোনেদের মতো মায়ের সঙ্গে থাকতে। 

ফোনটা নাটালি কুড়িয়ে পেতে পেতে রিং-টা থেমে গেছে। ফলে ফোনটা হাতে নিয়েই তার প্রথম কাজ হলো মাকে ফোন করা। মায়ের ফোনের রিং হচ্ছে শুনতে শুনতে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে শুরু করল নাটালি। আর দেখল অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় দাঁড়িয়ে এডউইন জিভ ভেঙাচ্ছে, দুটো হাতের পাতা কানের পাশে লাগিয়ে, হেলেদুলে।

এর মানে ও কোনো একটা ব্যাপারে নাটালিকে হারিয়েছে বলে মনে করছে।

ঘরে পা রেখেই ল্যান্ড ফোনের স্পিকারে মায়ের গলা শুনতে পেল নাটালি, …… টেরেসা মাসির সাথে তোমরাও হাত লাগিও রান্নায়। মাসিকে অযথা বিরক্ত করবে না। অ্যাশলিকে দেখো। দুজনেই আমার ভালোবাসা নাও। একটু পরেই দেখা হচ্ছে।

এডউইন আর নাটালি সমস্বরে বলে উঠল, লাভ ইউ মা। সি ইউ ইন আওয়ার্স।

 মায়ের সাথে কথা শেষ হতে নাটালি বলল, তুই ল্যান্ড ফোন থেকে কল করেছিলি মাকে, তাই আমার কলটা মা ধরতে পারে নি।

 এডউইন বলল, সে যাই হোক, আমি কয়েক সেকেন্ড আগে হলেও তোর আগে ঘরে ঢুকেছি আর ফোন করে মাকে সেটা জানিয়েছি।

নাটালি প্রথমে ফিক করে হাসল তারপর হিহি করে হেসে গড়িয়ে পড়ল। বলল, তুই হিংসুটে। তুই ছেলেমানুষ।

এডউইন প্রতিবাদ করল, নোপ। আমি প্রমাণ করে দিয়েছি, আমাকে চাবি দেওয়া হোক বা না হোক, আমি তোর থেকে আগে ঘরে ঢুকতে পারি। তার মানে এটাও প্রমাণ করে দিয়েছি যে আমার কাছে চাবি না থাকলেও আমি ঘরে ঢুকতে পারি। 

সকালে বেরোনোর সময় ভেরোনিকা বলেছিলেন, এডের চঞ্চল স্বভাব। চাবিটা কোথায় ফেলবে না ফেলবে...... ওটা নাটালির কাছেই থাক।

তার জেরে নাটালি ইস্কুলবাস থেকে নেমে অ্যাপার্টমেন্ট কমিউনিটির গেটে দাঁড়িয়ে এডউইনকে বলেছিল, চাবি আমার কাছে। তালা আমি খুলব। তাই এক সেকেন্ড হলেও আমি তোর থেকে আগে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকব। আর মা ফোন করলে বলব, এড আমার পরে ফিরেছে...

তাই এডউইন নাটালির ব্যাগ থেকে ফোন তুলে নিয়ে জবা গাছের মাথায় রাখে। তবে ও ভেবেছিলো যে নাটালির ফোনের কথাটা ও বলবে নাটালি বাড়ির তালা খোলা মাত্রই। তাতে নাটালি ঘরে না ঢুকে ফোন খুঁজতে ছুটবে। আর সেই ফাঁকে ও ঘরে ঢুকে পড়বে, নাটালির থেকে আগে। নাটালি আর মিথ্যে মিথ্যে মায়ের কাছে নালিশ করতে পারবে না এডউইনের নামে। মা নাটালিকে ফোন করায় প্ল্যানটা কিছু সুবিধে পায়। 

এই সময় অ্যাশলির হাত ধরে মাসি টেরেসা উপস্থিত। টেরেসা বললেন, আমাদের খুব খিদে পেয়েছে। সব্বাই হাত-পা ধুয়ে রান্নাঘরে এসো। অ্যাশলি এসো।

নাটালি আর এডউইন প্রায় একই সাথে ঢুকল রান্নাঘরে। ততক্ষণে টেরেসা ভাত বসিয়ে দিয়েছেন। নাটালি এক কড়াই জল ফোটাতে বসাল। তারপর চিলিস-এর টিন খুলে চার-পাঁচ হাতা রাজমা আর কিমার ঘন ঝোল ফুটন্ত জলে মিশিয়ে খুন্তি দিয়ে নাড়ল খানিকক্ষণ। তারপর উনুন নিভিয়ে পাত্রটা টেবিলে নামিয়ে রাখল। এদিকে টেরেসা ততক্ষণে স্টেনারে ঢেলে ফেলেছেন সেদ্ধ হয়ে যাওয়া ভাত, যাতে ফ্যান ঝরে যায়। এডউইন একপ্লেট স্যালাড বানিয়ে ফেলেছে লেটুস, গাজর, লাল বাধাকপি, সবুজ বাধাকপি, র‍্যাঞ্চ আর হানি মাস্টার্ড দিয়ে। অ্যাশলি মেরে ফেলেছে দেড় ডজন খুদে আরশোলা। 

সারা কাউন্টির ধাবার মাঠটা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মাত্র একমাইলের মধ্যে। তাছাড়া অ্যাপার্টমেন্টের রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য যে পাইপগুলো ছিল সেগুলো এখন পরিত্যক্ত, কিন্তু সেগুলোর মুখগুলো খোলা। এই দুরকম পরিস্থিতি মিলিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে আরশোলার উৎপাত ভয়ঙ্কর।

অ্যাপার্টমেন্টে বাস করার প্রথম ছমাসে চারবার পেস্ট কন্ট্রোলকে ডেকেছিলেন ভেরোনিকা, অর্থাৎ প্রত্যেক দেড়মাসে একবার করে। কিন্তু তাতেও যখন আরশোলার থেকে নিস্তার পাওয়া গেল না, তখন ছেলেমেয়েরা আর ভেরোনিকা ঠিক করলেন যে যতটা পারা যায় নিজেরাই ষোলো হাতেপায়ে ব্যবস্থা করে নেবেন। তাতে লাভই হয়েছে। রুটিনবন্দী ব্যস্তজীবনে বিশেষ উথালপাথাল ঘটে না।

আসলে পেস্ট কন্ট্রোলকে ডাকতে হয় অ্যাপার্টমেন্ট কমিউনিটির ম্যানেজার মারফত। ম্যানেজার একটা নোটিস দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন যে পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানি কবে কখন কাজে আসবে। আইনত নাকি এই নোটিস ভেরোনিকার অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছোনোর কথা পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির লোক তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টে যখন আসবে তার থেকে অন্তুত চব্বিশ ঘন্টা আগে। কার্যক্ষেত্রে ভেরোনিকা বা তাঁর ছেলেমেয়েরা নোটিসটা পান যে সন্ধেবেলা তার পরের সকালেই পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির লোকেরা আসবেন বলে জানা যায়।

অর্থাৎ এই নোটিসটা সব সময়েই আচমকা আসে। তারওপর যেদিন পেস্ট কন্ট্রোল কাজ করবে সেদিন সন্ধে ছটার আগে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে মানা থাকে। মানে ইস্কুল থেকে আর কাজ থেকে সব্বাইকে গিয়ে জড়ো হতে হয় মাসি টেরেসার স্যান ডিমাসের বাড়িতে।

আবার নোটিস পাওয়া মাত্র রান্নাঘর, বাথরুমের তাক খালি করার ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হয়। পেস্ট কন্ট্রোল কাজ করে যাওয়ার পর আবার রান্নাঘর, বাথরুমের জিনিসপত্র যথাস্থাণে গুছিয়ে রাখতে হয়। এতে এডউইনদের সক্কলকে নিজের নিজের রুটিন থেকে দুম করে অনেকটা সময় দিতে হয়।

এদিকে দিনের মাপ চব্বিশ ঘন্টায় বাধা। মানে বাড়তি কাজটুকুর জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায় না। ফলে টান পড়ে ঘুমে। এইভাবে পেস্ট কন্ট্রোলের হাজিরাটা বাড়তি উপদ্রব হয়ে দাঁড়ায়।

পেস্ট কন্ট্রোলকে না ডাকলে আরশোলা মারার কাজটাও রুটিনে ঢুকিয়ে নেওয়া যায়। আচমকা বাড়তি কাজের ধাক্কায় সময় নিয়ে টানাটানি হয় না। পড়াশোনার চাপ সবচেয়ে কম হওয়ায় অ্যাশলিই আরশোলার ব্যবস্থা করে সবচেয়ে বেশি।

খাওয়া শেষ হলে নাটালি বসল পিয়ানো বাজাতে। প্রত্যেক দু-সপ্তাহ পর পর শনিবারগুলোতে সে ইয়র্বা লিন্ডাতে এক দিদিমণির কাছে পিয়ানো বাজানো শিখতে যায়।

অ্যাশলি আর এডউইন বসল অ্যাশলির ইস্কুলের ক্র্যাফট বানাতে। টেরেসা গেলেন গাড়িতে। তিনি ইস্কুলে পড়ান কিনা। তাঁকে কয়েক ডজন খাতা দেখে রাখতে হবে রাতের মধ্যে। খাতাগুলো রাখা আছে গাড়িতে। 

ঘন্টাখানেক পিয়ানো বাজানোর পর নাটালি অ্যাশলির ইস্কুলের ব্যাগ খুলে দেখে নিল তার কী কী হোমওয়ার্ক আছে। তারপর সে ডাক দিল, অ্যাশলি ক্র্যাফ্‌ট গুছিয়ে তুলে রাখো। এদিকে কাজ আছে আরও।

অ্যাশলি এলো নাক মুছতে মুছতে। বলল, এড তুলে রাখছে সব গুছ্‌... অ্যাঁ অ্যাঁ হ্যাঁ-চ্‌-ছো 

ততক্ষণে মাসি টেরেসা হাতে ওষুধের বোতল আর চামচ নিয়ে চলে এসেছেন। ওষুধ খেয়ে অ্যাশলি বসল বটে যোগ-বিয়োগ নিয়ে, কিন্তু সর্দির চোটে নাক মুছে মুছে কাহিল হয়ে পড়তে লাগল।

এডউইন পড়ে খাবার টেবিলে। টেরেসা মাসিও সেখানে বসেই খাতা দেখছিলেন। মাঝে মাঝে গাড়িতে গিয়ে রেখে দিয়ে আসছিলেন দেখা খাতা। আর নিয়ে আসছিলেন আরেক থাক দেখতে বাকি খাতা। মধ্যে মধ্যে এডইউনের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। দিচ্ছিলেন নাটালির প্রশ্নের জবাবও। 

নটার একটু পরে ভেরোনিকা ফিরলেন বাড়িতে। এসেই বললেন, কই, আমার বেবি তো ছুট্টে এলো না? 

টেরেসা বললেন, বেবির আবার জ্বর হয়েছে। ঘুমিয়ে গেছে। নাটালির ঘরে আছে।

ভেরোনিকা সে ঘরে গিয়ে অ্যাশলির গায়ে মাথায় হাত দিয়ে কতটা জ্বর বোঝার চেষ্টা করলেন। তারপর হাতমুখ ধুয়ে টেবিলে বসলেন। টেরেসা তাঁকে দুধের গ্লাস এগিয়ে দিলেন একটা।

নাটালি, আর এডউইনও বসল টেবিলে নিজের নিজের দুধের গ্লাস হাতে। টেরেসা খাতা-পত্র গুটিয়ে নিলেন। তারপর প্লেটে রাখা কেকের একটা টুকরো ভেঙে মুখে দিলেন।

ভেরোনিকা বললেন, বলো দেখি আমার কাছে কেমন খবর আছে ভালো না মন্দ?

এডউইন আর নাটালি পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। অধৈর্য স্বরে বলল এডউইন, বাবা বাড়ি আসবে?

ভেরোনিকা বারবার ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বোঝাতে বোঝাতে বললেন, ক্রিসমাস ইভে। থাকবেন নিউইয়ার্‌স ডে অবধি। তারপর ফিরে যাবেন।

এডউইন আর নাটালি আবার পরস্পরের দিকে তাকাল। তারপর ইয়ে-এ-এ-এ! বলে একসাথে চেঁচিয়ে উঠল। টেরেসা আর ভেরোনিকা হাসলেন খুব।

তারপর নাটালি বলল, প্রিসিলাকে বলেছ?

প্রিসিলা হলো এডউইন, নাটালি, অ্যাশলিদের সবচেয়ে বড়ো বোন। তারপর এডউইন, তারপর নাটালি আর অ্যাশলি সবার ছোটো। প্রিসিলা থাকে পোমোনাতে, দিদিমার সাথে।

টেরেসা উত্তর দিলেন, ও এখন খুব ব্যস্ত। মেড স্কুলে যাবে ভেবেছিল...। সে তো আর এক্ষুণি হবার নয়। তবে প্রি-মেড কোর্সে যাতে চান্স পায় তার জন্য গ্রেডটা উঁচু রাখতে হবে তো। পোমোনায় মায়ের বাড়িতে গেলেই দেখি মেয়েটা হয় অ্যালজেবরা করছে, নয়তো কেমিস্ট্রি পড়ছে। বায়োলজি ওর দখলে। এ দুটোতে একটু টিউটর পেলে ভালো হতো। কিন্তু তাও তো...। খবরটা শুনলে ও-ও তোদের মতোই খুশি হবে। তবে ফোন করে আর এখন বলিস না। আজকের পড়াটা মাটি হবে। বরং কাল দুপুরে ইস্কুলের পর আমি বলে দেব। তাতে উত্তেজনাটা সহজ হয়ে যাবে বাকি দিনের ব্যস্ততায়। রাতে আবার ঠাণ্ডা মাথায় পড়তে বসতে পারবে।

মাসি থামতে, ভেরোনিকা বললেন, কালকের কথায় খেয়াল হলো... তোমাদের মধ্যে কেউ কি কাল বাড়ি থাকতে পারবে?

এডউইন উত্তর দিল, আমার তো প্রজেক্ট জমা দেওয়ার দিন...  

নাটালি কথা কেড়ে নিল এডউইনের থেকে, আমি পারব থাকতে।

ভেরোনিকা বললেন, কাল আমার একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে। মিগেইলের মোকদ্দমার তদন্তের ব্যাপারে। মিগেইল প্রিসিলা, এডউইন, নাটালি, অ্যাশলির বাবা।

ভেরোনিকা আরও বিশদে জানালেন, মিগেইল যে নির্দোষ এটা প্রমাণ করার জন্য আরেকটা সাক্ষী হয়তো পাওয়া যাবে এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে।

নাটালি ভেরোনিকার দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিল, সবে তো সেপ্টেম্বর এখন। নতুন ক্লাসে খুব চাপ নেই আমাদের। অ্যাশলির সাথে থাকতে হবে তো?

ভেরোনিকা নাটালির গাল টিপে বললেন, মেয়েটা আমার বড়ো হয়ে গেছে। এদ্দিন গরমের ছুটি কাটিয়ে ইস্কুল যাতায়াতে বোধ হয় অনিয়ম হয়েছে কিছু, তাই অ্যাশলির জ্বর এসেছে।

মাসি চমকে উঠে হতাশ গলায় সব্বার মনের কথাটা উচ্চারণ করে ফেললেন, উফ্‌ তিনমাস কেমন হুস করে কেটে গেল। আবার চাপ...।

এডউইন মনে করাল, তুমি যে ইকুয়েডরের জঙ্গলে ট্রেকের ছবি দেখাবে বলেছিলে, এখনও দেখালে না?

টেরেসা সাবধান স্বরে আপত্তি জানালেন, আজ আর নয়। সব্বাই শুয়ে পড়ো। কাল ইস্কুল যেতে হবে তো! আমাকেও ফিরতে হবে স্যান ডিমাস।

উঠে পড়লেন টেরেসা। উঠলেন ভেরোনিকাও। টেরেসা তাঁর গাড়িটা পার্কিং থেকে বার করলে তবে সেখানটায় ভেরোনিকা তাঁর গাড়িটা রাখতে পারবেন। ভেরোনিকার গাড়িটা রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় রাখা আছে এখনও। সেই জায়গা অবধি টেরেসা ভেরোনিকাকে পৌঁছেও দেবেন নিজের গাড়িতে করে।

ভেরোনিকা তিনকামরা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছেন বলে যদিও দুটো পার্কিং স্পট পেয়েছেন, কিন্তু উপরি রোজগারের জন্য অন্য পার্কিং-টা ভাড়া দিয়েছেন। মিগেইল জেলে যাওয়ার পর থেকে তিনি বড়ো আর্থিক টানাটানিতে পড়েছেন যে।


~~~~~~~~~~~~
Read at your own pace. On Browser the whole book FREE OF COST from this link. সম্পূর্ণ বই নিজের গতিতে পড়ার জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজারে বিনামূল্যে এই লিঙ্ক থেকে : https://read.bookfunnel.com/read/9cq7a4tl7h
Read at your own pace. On Browser or Download the whole book FREE OF COST from this link. সম্পূর্ণ বই নিজের গতিতে পড়ার জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজারে বা ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে বিনামূল্যে এই লিঙ্ক থেকে : https://dl.bookfunnel.com/9cq7a4tl7h
~~~~~~~~~~~~~
Link to Previous Post আগের পোস্ট: https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/12/blog-post.html
Link to Following Post পরের পোস্ট:
https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/12/chapter-2.html

Readers Loved