Showing posts with label Brick and mortar store. Show all posts
Showing posts with label Brick and mortar store. Show all posts

Tuesday, April 22, 2025

Walmart Visitor Center - 4

 খরচা কমান ভালো থাকুন



ওয়ালমার্টের সাফল্যের মূলে আছে উদ্ভাবনী। মুদির দোকান চালানোর জন্য কেউ আগে যা করে নি, সেই সব কান্ড ভাবা এবং করে ফেলা। মুদির দোকানে নিত্য প্রয়োজোনীয় জিনিসের ঘাটতি থাকলে ক্রেতা ফিরে যায় এবং দোকানের ক্রেতার সংখ্যা আর বিক্রি কমে যায়। আবার ওয়ালমার্টের দোকান ছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো ছোটো মফস্বলী আর গ্রামীন জনপদে যেখানে সাকুল্যে পাঁচ হাজার মানুষ থাকে। তাই জিনিসপত্রের যোগান অব্যাহত রাখতে ওয়ালমার্ট আশির দশকেই নিজেদের সমস্ত দোকানকে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থায় জুড়ে ফেলেছিল। আজও ওয়ালমার্টের দোকান ছোটো শহরেই দেখা যায়। জনবহুল বড়ো শহরে এই দোকান প্রায় নেই বললেই চলে।

ওয়ালমার্ট ভিজিটর্স সেন্টারের সব থেকে মজার দ্রষ্টব্য কিন্তু তিনটি ফেরত মাল। তার মধ্যে একটা পেন্সিল শার্পনার যেটা ফেরত হয়েছিল যে সেটা দিয়ে কালির কলমকে ধারালো করা যায় না বলে, আরেকটা হলো একটা হ্যান্ড মিক্সার যেটা ফেরত হয়েছিল ভুতুড়ে বলে। আর আছে লিক করার কারণে ফেরত হওয়া স্ট্যানলি কোম্পানির একটা ভ্যাকুয়াম বোতল যেটা তৈরি হয়েছিল ১৯৫৪ সালে, ১৯৬২ সালে ওয়ালমার্ট তৈরি হওয়ার আট বছর আগে। 




ভিজিটর সেন্টারেই স্মারক পাওয়া যায় মিনিয়েচার ওয়ালমার্ট ট্রাকের, মেকানিক্যাল ক্যাশ রেজিস্ট্রারের, কোকাকোলা ও অন্যান্য পুরোনো পানীয়ের বোতলের, বিগত দশকের রাধুনীর অ্যাপ্রন আর নানান টুকিটাকির। দর্শকদের জন্য ভিজিটর সেন্টারের দরজা খোলা সোম থেকে শনি সকাল সাড়ে ছটা থেকে রাত নটা আর রবিবারে দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা। মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখে বেশ টের পাওয়া যায় শুধু মুদির ব্যবসা নয়, বিশ শতকের মফস্বলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাত্রার বিবর্তন। মিউজিয়ামটি শুধু ওয়ালমার্টেরই নয়, সমগ্র মার্কিনি মফস্বলী জীবনের সংগ্রহশালা।





After thoughts:

  1. Will the new US levies on imports from China raise the price of the goods of daily necessities? 

  2. Or, has the Us already started production of goods of daily necessities with the help of AI, automation and robotics at a cheaper cost than the cost of manufacturing in China (including Taiwan)? 

  3. Or, would the new US levies on imports from China would just balance out the cost of production with new automation technology with AI powered robotic tools? 

  4. Or, these levies would give a path to worldwide marketing of new automation technologies with AI powered robotics?



Sunday, April 20, 2025

Walmart Visitor Center -3

 খরচা কমান ভালো থাকুন



সাতের দশকেই সমস্ত দোকানের পরিচালন ব্যবস্থা দক্ষ এবং দ্রুত করার জন্য ওয়ালমার্ট সাহায্য নিয়েছিল কম্পিউটারের। সেকালের সেই বৃহৎ যন্ত্রটার ছবিও রয়েছে মিউজিয়ামে। ছবি রয়েছে স্যাম ওয়ালটন ব্যবহৃত ছোট্টো এরোপ্লেনটির, কোম্পানি একশো বিলিয়ন ডলার রোজগার করার পর ওয়াল স্ট্রীটে স্যাম ওয়ালটন প্রতিশ্রুত হুলা নাচের। ছবি রয়েছে সাতাশটা আলাদা আলাদা দেশে ছড়িয়ে পড়া বিশাল সংস্থাটির নানান দেশে কর্মকান্ডের ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রয়াসের, সামাজিক দায়িত্ব পালনের। 



কিন্তু উৎকর্ষের এই যাত্রা কিছুমাত্র মসৃণ ছিল না। ওয়ালমার্টের সংখ্যা সতের ছাড়াতে স্যামপত্নী হেলেন চেয়েছিলেন যেন দোকানের সংখ্যা আর না বাড়ে। কিন্তু ছিল আত্মীয়-বন্ধু ইত্যাদি লগ্নিকারদের তুষ্টি সাধনের আর ব্যাঙ্কের ধার শোধার দায়। একটা সময় অ্যারক্যানস, ওকলাহোমা, মিসৌরি আর টেক্সাসের উত্তরে ডালাস অবধি নানান ব্যাঙ্কে স্যাম ওয়ালটনের ব্যক্তিগত দেনা দাঁড়িয়েছিল আকাশছোঁয়া। 


তার থেকে নিস্তার পান কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে। ফলে বাড়ে মুনাফা বাড়ানোর চাপ, দোকানের সংখ্যা বাড়ানোর চাপ। ফলে তিনি একটা পুরোন প্লেন কিনে ফেলেছিলেন, সারাদিনে অনেকগুলো দোকান যাতে ঘুরেফিরে দেখতে পারেন সে জন্য। আর তাছাড়াও সস্তা জমির খোঁজ করতে সুবিধে হবে বলে। 

মুদি ব্যবসার প্রথম পাঁচ বছরেই খুব চড়া মূল্য দিয়ে ওয়ালটনরা জেনেছিলেন যে দোকানঘরের মালিকানা তাঁদের নিজেদের হওয়াটা জরুরি। তাই মফস্বলের ফাঁকা জমি দেখে সেখানে নিজেদের দোকান বানানো যাবে কিনা তার পরিকল্পনা করার জন্যই নিজের এয়ারপ্লেনকে যথাসম্ভব নিচু দিয়ে ওড়াতেন স্যাম। এভাবেই ওয়ালমার্ট ছড়িয়ে গিয়েছিল জনপদ থেকে জনপদে সস্তা দ্রব্য আর সন্তোষজনক পরিষেবার লক্ষ্য নিয়ে।



মিউজিয়ামে রাখা আছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে নানা সময়ে প্রকাশিত ওয়ালমার্ট ও স্যাম ওয়ালটন সম্পর্কিত নানান খবরের সংগ্রহ। অধিকাংশ খবরেরই উপজীব্য হলো যে স্যাম ওয়ালটন ছিলেন মধ্যবিত্ত মার্কিনির আদর্শ ব্যক্তিত্ব। ওকলাহামার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্মে, গভীর দক্ষিণের ফ্লোরিডা বা দক্ষিণের মিসৌরির নানা মফস্বল শহরে ঘুরে ঘুরে বেড়ে উঠে, মন্দার তিরিশের দশকের অভাব অনটন আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ সয়ে, মুদির ব্যবসায় কোটিপতি হয়েছিলেন স্যাম ওয়ালটন ও তাঁর ওয়ালমার্ট। মার্কিন মফস্বলের স্বপ্ন সফল হয়েছিল। আবার কিছু সংবাদপত্রে যে নিন্দে করা হয়েছিল কোটিপতি ব্যবসায়ী নিজের দোকানের সস্তা জামা গায়ে দেন বা পাড়ার সেলুনে চুল কাটেন সস্তায়, স্পোর্টস কার নয় নিতান্ত সাধারণ মজুরের পিক আপ ট্রাক চড়েন বলে সেসবও সাজিয়ে রাখা আছে মিউজিয়ামে।





(চলবে)



Saturday, April 19, 2025

Walmart Visitor Center -2

 খরচা কমান ভালো থাকুন


এ সবের শুরু একটা মাত্র ধারণা থেকে, কাস্টমার ইস বস। অর্থাৎ ক্রেতাই কর্তা। এটাই স্লোগান দোকানের কর্মচারীদের জন্য। শূণ্য অভিযোগের লক্ষ্যে অখুশি ক্রেতাকে জিনিসের বদলে জিনিস বা পয়সা ফেরত দেওয়ার এই ব্যবস্থায় ওয়ালমার্ট চলছে ১৯৬২ সালে শুরুর দিন থেকে। 

ওয়ালমার্টের প্রথম দোকান ছিল রজার্সে। রজার্সের পশ্চিমে বেন্টনভিল নামে এক ছোট্টো শহরে ওয়ালমার্টের সদর কার্যালয়। এই শহর অ্যারক্যানস (Ar-kan-saw, উচ্চারণ) প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে কানসাস, মিসৌরি আর ওকলাহামা রাজ্যের লাগোয়া। বেন্টনভিল শহরের মূল দুই রাস্তার দৈর্ঘ্য সাকুল্যে পাঁচ মাইল। এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেন্টন কাউন্টির বিচারালয়। সেই বিচারালয়ের সামনে বাগান আর ফোয়ারায় সাজানো ডাউনটাউন স্কোয়ার।

ডাউনটাউন স্কোয়ারের অপর দিকে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনস ফাইভ অ্যান্ড ডাইম স্টোর। এই দোকানের লক্ষ্য ছিল মার্কিন মফস্বলের খেটে খাওয়া মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সস্তায় বিক্রি করে তাঁদের সাশ্রয় করতে সাহায্য করা। যাতে তাঁরা নিত্য ব্যবহার্যের প্রয়োজনের বাইরেও ভালো থাকার অন্য ব্যবস্থায় খরচ করতে পারেন। সেই দোকানটাই আজকের ওয়ালমার্ট ভিজিটরস সেন্টর আর মিউজিয়াম।

যান্ত্রিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার থেকে সেকালের বেন্টনভিল ডাউনটাউন স্কোয়ারের ছবি ও পেন্টিং, প্রাইসট্যাগ ছাপার যন্ত্র, সেকালের কোকাকোলার বোতল, বিড়ালের খাবারের প্যাকেট, কাগজের ঠোঙা এমনকি ক্রেতাদের ফেরত দেওয়া কিছু জিনিসপত্রও ঠাঁই পেয়েছে মিউজিয়ামে। ব্যক্তিগত ব্যবহার্যের মধ্যে রয়েছে স্যাম ওয়ালটনের পাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। আরও রয়েছে স্যাম ও তাঁর স্ত্রী হেলেনের বিয়েতে হেলেন যে গাউনটি পরেছিলেন সেটি, স্যামের ব্যবহৃত পিক আপ ট্রাক, টেপ রেকর্ডার, লেখার প্যাড, তাঁর আপিস ঘরটি।










ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক রাখতে কর্মীদের স্যাম ওয়ালটন শিখিয়েছিলেন তিনটি নীতি ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা, ক্রেতা পরিষেবা এবং উৎকর্ষের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা।এই নীতি পালনের অন্যতম উপায় ছিল  দশ ফুটের নিয়ম। সে নিয়ম হলো যে কর্মরত অবস্থায় যেই দশফুটের মধ্যে কোনো ক্রেতা আসবেন তাঁকে হাসিমুখে অভিনন্দন জানিয়ে সাহায্যের প্রস্তাব দিতে হবে।  স্যাম বিশ্বাস করতেন যে দোকান পরিচালনার নেতৃত্ব কাঁচঘরের ভেতরে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় না বরং তৈরি হয় নিত্য যাঁরা ক্রেতার তুষ্টির জন্য সরাসরি কাজ করছেন দোকানে তাঁদের মধ্যে। তাই তিনি উৎকর্ণ থাকতেন কর্মীদের মনে দোকান নিয়ে কি চিন্তা ঘুরছে, তা শোনার জন্য। তাই পকেটে থাকত তাঁর পকেট টেপরেকর্ডার। কথোপকথনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রেখে দিতেন টেপে রেকর্ড করে। তার আগে তাঁর সঙ্গে থাকত হলুদ নোটপ্যাড, তাতে ক্রমাগত লিখে চলতেন শিক্ষনীয় সমস্ত বৃত্তান্ত। অথবা লিখে ফেলতেন কর্ত্তব্য সারণী মানে বানিয়ে ফেলতেন টু-ডু লিস্ট।








(চলবে)


Thursday, April 17, 2025

Walmart Visitor Center - 1

 খরচা কমান ভালো থাকুন

মুদির দোকান নিয়ে মিউজিয়াম! বেশ অবাক লাগে ভাবতে। কিন্তু এতো যে সে মুদির দোকান নয়, ওয়ালমার্ট - কর্পোরেটচালিত মুদির ব্যবসা। তাও পঞ্চাশ বছর পার করে, চারশো বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় (around 2018, current data has not been checked) করে এমন এক বহুজাতিক সংস্থা। অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ মুদির দোকান।

ওয়ালমার্টের বিশালাকৃতি দোকানগুলোর আনাচে কানাচে ঝোলানো থাকে একটাই স্লোগান, সেভ মানি, লিভ বেটার অর্থাৎ খরচা কমান, ভালো থাকুন। অবশ্যই ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে, কিংবা যেই ঢুকবে দোকানে তার উদ্দেশ্য। দোকানের আয়োজনও বিশাল। এক ছাদের তলায় কাঁচা মুরগির মাংস, মুরগির রোস্ট থেকে পুষ্যি মুরগির খাবার যেমন পাওয়া যায়, তেমনই পাওয়া যায় সবজি, সবজি বাগান এবং ফুলবাগান করার চারা, বীজ, সার, মাটি, যন্ত্রপাতি, আরও পাওয়া যায় জামা, জুতো, টিভি, সস, বিস্কুট চ্যুইং গাম, তেল, সাবান, শ্যাম্পু, জ্যাম, মধু, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, ওষুধপত্র, চাদর, বালিশ, বালিশের ওয়াড়, তোশক, তোশোকের ওয়াড়, লেপ, কম্বল, কাঁথা, ছুঁচ, সুতো, কাঁচি, প্লায়ার্স, বোতাম, গয়না, ছাতা, কাপড়কাচা আর বাসন বাজার সাবান, ঝাড়ু, ঝুড়ি, বালতি, ঝাড়ন, আলো, পাখা, বাসন, হাতা, মাইক্রোওয়েভ আভেন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, উনুন, খাতা, বই, পেন, পেন্সিল, চেয়ার, টেবিল, খাট, বিছানা, ইস্ক্রুপ ড্রাইভার, ইস্ক্রুপ, মেশিনে দেওয়ার তেল - মানে বেঁচে থাকতে যা যা লাগে তার সব কিছু। না, বাড়ি, গাড়ি পাওয়া যায় না। কিন্তু পাওয়া যায় বাড়ি সারানোর সব উপকরণ, দেওয়ালে, দরজা,জানলায় লাগানর রঙ, রঙ করার ব্রাশ, গাড়ির টায়ার, ব্যাটারি, গাড়ির অয়েলিং ইত্যাদি করানোর ব্যবস্থা। তাছাড়াও পাওয়া যায় চশমা, চোখের ডাক্তার, প্রেস্ক্রিপশন মেডিসিন কেনার ফার্মাসি, নেল স্পা (মানে নখের যত্ন করার বিউটি পার্লার), চুল কাটার সেলুন, ব্যাঙ্ক, ট্যাক্স স্টেটমেন্ট জমা দেওয়ার ঋতুতে ট্যাক্স অ্যাটর্নির শাখা দপ্তর, কোথাও কোথাও পোস্টাপিস।

আর চমৎকার ব্যাপার হলো যে কোনো জিনিস কেনার পর তার গায়ের স্টিকার বা বাক্স রেখে দিয়ে যদি তার ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি)-টা রেখে দেওয়া যায়, তাহলে সেই জিনিসটা ফেরত দেওয়া যাবে। ওয়ারান্টির মধ্যে হলে জিনিসটা বদলে নেওয়া যাবে বা বিক্রয়কর সমেত দামের পুরো পয়সা পুরো ফেরত নেওয়া যাবে - যা ক্রেতার মর্জি। পয়সা ফেরত হতে পারে ক্যাশে বা ক্রেডিট কার্ডে যেভাবে ক্রেতা চান, এর জন্য ক্যাশমেমো থাকাটা আবশ্যিক। ক্যাশমেমো নেই কিংবা ওয়ারান্টি পিরিয়ড পেরিয়ে গেছে তাতেও কুছ পরোয়া নেই। ফেরতযোগ্য জিনিসটার ইউপিসি থাকলেই দামটা একটা গিফট কার্ডে ফেরত পাওয়া যাবে। তারপর ওয়ালমার্ট থেকেই সেই গিফট কার্ডে যা খুশি তাই কিনে ফেলা যাবে। বা গিফট কার্ডটা কাউকে গিফটও করে দেওয়া যেতে পারে।

(চলবে)

Readers Loved