নাটালির বাবা মিগেইল কারাবন্দী যে অপরাধে সেটা তিনি করেন নি। নাটালির বাবা কী কোনো দিন এই কারাবাসের গ্লানি থেকে মুক্তি পাবেন?
মিডল স্কুলে পড়া নাটালি মানিয়ে নিচ্ছে রোজ জীবনে হঠাত ঘটে যাওয়া বদলগুলোর সঙ্গে। মেয়েটার জীবন বদলে গেছে ওর বাবার হাজতবাসের কারণে যবে থেকে ওর মা ভেরোনিকা ওর আজন্মের বাড়ি ছেড়ে, নাটালির বড়ো বোন প্রিসিলাকে দিদিমার বাড়িতে রেখে, নাটালির সঙ্গে ওর বড়ো ভাই এডউইন আর ছোটো বোন অ্যাশলিকে নিয়ে জেলের কাছাকাছি একটা অ্যাপার্টমেন্ট কমিউনিটিতে চলে এসেছেন তবে থেকে। নতুন পাড়ায় পড়শীদের সাথে পুলিশের নিত্য চু-কিতকিত খেলা দেখতে দেখতে ওদের জীবনের দুঃখে জুড়ে গেছে হতাশা, দীর্ঘশ্বাস আর স্বপ্ন হারানোর ভয়।
তবুও নাটালি ইস্কুলের দিদিমণি হওয়ার আর চমকদার গল্প বলার স্বপ্ন আঁকড়ে থাকে রোজ। ওর চোখের সামনে যদিও প্রিসিলার স্বপ্ন ভেঙে পড়তে যাচ্ছে দেখে ও, যদিও দেখে এডউইন কেমন যেনো অপরিচিতের মন পেতেই বেশি আকুল হয়ে পড়ছে, যদিও ওর দুঃখ হয় অ্যাশলির শৈশবে ওদের থেকে অনেক বেশি দারিদ্র্যের ছাপ বলে, আর খাটতে খাটতে বেদম হয়ে যাওয়া মায়ের কথা ভেবে। কৈশোরের এই ভার থেকে নিস্তার পাবে কী নাটালি?
“সোনা রোদ আর সোনালী ধূলোর দেশে” বয়ঃসন্ধিতে একদল ছেলেমেয়ে কিভাবে বয়ঃপ্রাপ্তের লোভ লালসায় জেরবার হয়ে যাচ্ছে সেই কষ্টকর জীবনের ও সময়ের গল্প। আপনি যদি লর্ড অফ দ্য রিংস-এর হাই ফ্যান্টাসি কিংবা হ্যারি পটারের অ্যাকাডেমি ফ্যান্টাসি ছাড়া অন্য কোনো ধারার গল্পের পাঠক না হন, তবে এই গল্প আপনার জন্য নয়। যারা প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের আদরিণী কিংবা শরৎ চাটুজ্জের মহেশ বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি-র কথা সাহিত্য পড়ে আনন্দ পান, এই গল্প তাঁদের জন্য।
এখনই সম্পূর্ণ বই বিনামূল্যে পড়াতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে অথবা এখানে পড়তে পারেন পর্বে পর্বে।