ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ
অক্ষয় কুমার তাঁর মায়ের সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠেছিলেন। নামটিও তাঁর মায়েরই দেওয়া। পশ্চিমের শিষ্যকুলে অক্ষয় কুমার জানিয়েছিলেন যে তাঁর নামের উচ্চারণ “এক হয়”। ইংরেজিতেও তাঁর নামের বানান শিষ্যেরা “Akhoy” লিখে থাকেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে তাঁর নামের অর্থ হলো ঈশ্বরপুত্র (!)। এর কারণ এই হতে পারে যে, তিনি যখন ১৯০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছোন তখন অব্যয়, অজর, অমর, অবিনাশ, অবিনশ্বর, যার ক্ষয় নেই – অক্ষয়” শব্দের এই সব অর্থ ইংরেজি শব্দবন্ধে প্রকাশ করার ক্ষমতা অক্ষয় কুমারের ছিল না।
তিনি শিষ্যদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর মায়ের দেবভক্তিই তাঁর মনে ভক্তিভাবের সিঞ্চন করেছিল। যখন তাঁর মাত্র ষোল বছর বয়স, তখন তাঁর মায়ের তিরোধান ঘটে। এরপর অক্ষয় কুমারও ঘর ছেড়ে পথে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর মা তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার যে বীজ বুনেছিলেন তাকে পুষ্টি দিয়ে মহীরুহে পরিণত করতে অক্ষয় কুমার সারা ভারতবর্ষ পরিব্রাজন করেছিলেন, নানান গুরুর শিষ্যত্ব নিয়েছিলেন। খ্রীষ্টধর্মকে সম্যক বুঝতে তিনি পৌঁছেছিলেন বেথলেহেমে। তাঁর গুরু আরুমডা তাঁকে বলেছিলেন যে শেষ পর্যন্ত অক্ষয়কুমার আমেরিকাতেই ধর্মদীক্ষা দেবেন হাজারো জিজ্ঞাসু মানুষকে।
ওয়াশিংটনের স্পোক্যানে শ্রীমদ্ভাগবতের বিষয়ে অক্ষয় কুমারের এক বক্তৃতা সভায় শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিট। দর্শকাসনে তাঁকে দেখে উৎসাহে আত্মহারা অক্ষয়কুমার মঞ্চ ছেড়ে দৌড়ে যান ডিবিটের কাছে। ডিবিট তার আগেই জঙ্গলের ভেতর দৈববাণী শুনে মন্টানার কাজ ছেড়ে, আইডাহো থেকে পরিবার তুলে নিয়ে চলে এসেছিলেন স্পোক্যানে। সেখানেই পরবর্তী অর্ধদশক ডিবিট গুরুসান্নিধ্যে কাটান। শিক্ষা সমাপনে গুরু শিষ্যকে নাম দেন “বিদ্বান”। ইংরেজি বানানটা হয়ে গেছে “Vitvan”। অর্থটা কিন্তু “যিনি সব জানেন” বলেই জানিয়েছেন মজুমদারের শিষ্যরা।