Showing posts with label Emigration from India Immigration to the United States. Show all posts
Showing posts with label Emigration from India Immigration to the United States. Show all posts

Thursday, January 30, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 10

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে অগণিত ভারতীয় জন্মভূমিকে ছেড়ে কর্মভূমিকে মাতৃভূমির মর্যাদা দিয়েছেন। ভারতবর্ষ তাঁদের প্রবাসী, অনাবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত বলে স্বীকৃতও করেছে, কাউকে কাউকে রাষ্ট্রীয় সম্মানও দিয়েছে। তাহলে এই বিষয়ে ভারতের অভিমানের কোনো কারণ নেই।

অক্ষয় কুমার মজুমদারের ধর্মদর্শন নিয়েও ভারতের আপত্তি থাকার কথা নয়। খোদ ভারতেই আড়াই হাজার বছর ধরে হিন্দু ধর্মের নানান ব্যাখ্যা শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, ব্রাহ্মরা দিয়ে চলেছেন। অদ্বৈত্যবাদ, দ্বৈতাদ্বৈত্যবাদ থেকে অচিন্ত্যভেদাভেদ তত্ত্ব কিংবা একেশ্বরবাদ কোনোটাই ভারতবর্ষ গুরুত্বহীন বলে মনে করে নি।

ধর্ম সমন্বয়ের উদাহরণ আকবার বাদশাও রেখেছিলেন দীন ইলাহিতে। না, অক্ষয় কুমার রাজা, বাদশার মতো ক্ষমতার চূড়ামণি ছিলেন না। কিন্তু তিনি ভারতের ধর্ম সমন্বয়ের আদি অভ্যাসটিকে জাগরুক রেখেছিলেন।

তাহলে ভারতবর্ষ খেয়ালই করে নি উদ্যমী ধর্ম প্রচারক ও সুদুর পাশ্চাত্যে সমাদৃত ভারতীয় অক্ষয় কুমার মজুমদারকে? সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর সময়ের সমুদ্রে বিলীন মুহুর্তের সাথেই মিলিয়ে গেছে।



সূত্র: 

  1. http://www.mozumdar.org/yesterdaysevangelist.html

  2. https://web.archive.org/web/20141018005925/http://www.mozumdar.org/images/Hesperia.pdf

  3. https://spokanehistorical.org/items/show/618

  4. https://web.archive.org/web/20141018010017/http://www.mozumdar.org/

  5. https://web.archive.org/web/20141217213012/http://www.mozumdar.org/images/mozumdar%20camp%20article%201948%20B.pdf

~~~~~~~~~~~~

আগের পোস্ট :

Wednesday, January 29, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 9

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



লগ কেবিন থেকে উত্তর-পুবে নেমে যাওয়া ঢালু পথের শেষে দাঁড়িয়ে আছে টেম্পল অফ ক্রাইস্ট। ঝকঝকে নীল আকাশের নিচে, ধবধবে সাদা গম্বুজ আর চার কোণায় উঁচিয়ে থাকা চারটে সাদা মিনার নিয়ে। লাল রঙের সিঁড়ি উঠে গেছে মন্দির চত্বরের লাল মেঝেতে। গর্ভগৃহের চারপাশ দিয়ে ঘেরা বারান্দায় সাদা জাফরির কাজ আর লাল মেঝে। গর্ভগৃহের দর্শনের জন্য গর্ভগৃহের ফটকের দু দিকের দেওয়ালের সাথে লম্বভাবে থাকা দুই দেওয়ালে রয়েছে একটা করে কুলুঙ্গি, যেমন দেখা যায় বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলোতে। কুলুঙ্গি দিয়ে উঁকি মেরে দেখা গিয়েছিল যে ভিতরে রয়েছে মঞ্চ, মেঝতে একটার উপর একটা করে চাপানো অগুণতি চেয়ার, একটা ঘোরানো সিঁড়ি যা উঠে গেছে গম্বুজের ঠিক নীচের ঝুল বারান্দাতে। একটার ওপর একটা চেয়ার চাপিয়ে জড়ো করে রাখা আছে বারান্দার এক কোণেও। উত্তর আর পুব দিকের বারান্দা থেকে পাইন বনের ফাঁক দিয়ে দূরে দেখা যায় সিলভারউড লেক ।

টেম্পল অফ ক্রাইস্টের গঠন হিন্দু মন্দিরের মতো হলেও স্থাপত্যে স্পষ্ট ইসলামিয়ানা। আবার গর্ভগৃহের মতো জায়গাটার ভেতরটা খ্রীষ্টান চার্চের মতো ব্যাসিলিকা আর আইলের ধাঁচে গড়া। অক্ষয় কুমার মজুমদার শুধু দর্শনে বা বচনে ধর্মসমন্বয় সাধক ছিলেন না, মননেও ছিলেন। না হলে তাঁর ভক্ত শিষ্য বন্ধু  স্যান দিয়েগোর স্থপতি উইলিয়াম পি লজ এমন একটা স্থাপত্য নির্মাণ করলেন কী করে!


ভারতবর্ষ অক্ষয় কুমার মজুমদারের কথা মনে রাখে নি? নাকি সচেতন ভাবে উদাসীন অক্ষয় কুমার মজুমদার প্রসঙ্গে? উভয় প্রশ্নেরই পরের প্রশ্ন কেন? তিনি খাঁটি হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে জগৎ সংসারকে হিন্দু ধর্মে ব্রতী করেন নি বলে? নাকি তিনি পাশ্চাত্যের ধর্মমানসের মধ্যে সূক্ষভাবে রোপণ করেছিলেন হিন্দু অধ্যাত্মাচারণের বীজ সেকথা ভারতবর্ষ বুঝতে পারেনি? নাকি অক্ষয় কুমারের খোলাখুলি ব্যবহারের মধ্যে খ্রীষ্টধর্মের সোচ্চার প্রচার তাঁকে স্বজাতিদের মধ্যে অপ্রিয় করেছে? নাকি তাঁর জন্মভূমি ছেড়ে কর্মভূমিকে মাতৃভূমির মর্যাদা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টাটা ভারতবর্ষকে অভিমানী করেছে?

Tuesday, January 28, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 8

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



অক্ষয় কুমারের জীবনাবসানের পর স্যান বার্নার্দিনো পাহাড়ের ক্যাম্প মজুমদাররের সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ক্রেতা ওয়াই এম সি এ। তারপর কোরিয়ান ধর্ম্যাধক্ষ সান মিয়াং মুন এর ইউনিফিকেশন চার্চের অধীনে ছিল। এখন ক্যাম্প মজুমদারের আশেপাশের পুরো ক্রেস্টলাইন জুড়ে চার্চ অফ ল্যাটার-ডে সেন্টস -এর (মানে মরমনদের) আধিপত্য। ২০১৪ সালেও ক্যাম্প মজুমদারে পতপত করে উড়তে থাকা মিলিয়ন ফেমিলি মার্চের পতাকা প্রমাণ করে যে ক্যাম্প মজুমদারের মালিকানা এখনও ইউনিফিকেশন চার্চেরই।



তা সত্ত্বেও ক্যাম্প মজুমদার নামটি রয়ে গেছে। ইউনিফিকেশন চার্চ কর্তৃপক্ষ নামটা রেখে দিয়েছেন। মজুমদারের লগ কেবিনটির জায়গাতেই একটা লগ কেবিনও আছে। মজুমদার যেমন বলতেন “ঈশরের গৃহই ভক্তের আশ্রয়” সেই কথারই প্রতিধ্বনি রূপে কেবিনের দেওয়ালে  স্প্যানিসে লেখা “মি কাসা এস সু কাসা” (অর্থাৎ আমার বাড়ি তোমার বাড়ি)।





লগ কেবিনের একতলার বারান্দা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে এলোমেলো জিনিস। ছুতারের কাজের সরঞ্জজাম, বাইসনের শিং, লোহার নানান যন্ত্রপাতি। কেউ যেন ঘর গোছাতে গোছাতে অন্য কাজে আটকে গেছে। আর গোছানোর জিনিস সব ছত্রখান হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বারান্দায়।

বারান্দার বরগা থেকে একটা সাদামাঠা উইন্ড চাইম ঝোলে। তার পাশে ঝোলে প্লাস্টিকের আটপৌরে হামিংবার্ড ফিডার। একটা রুফোস হামিন বার্ড এসে থেকে থেকে সেই ফিডার থেকে চিনিজল বা শুধু জল খেয়ে যায়।



সেখান থেকে মেঠো পাহাড়ি পথ পৌঁছে দেয় পাইনবইনের সিরসিরে হাওয়া মেখে দাঁড়িয়ে থাকা পিলার্স অফ গডে। এখানে এখনও সব ধর্মের মানুষ নিজদের ধর্মের কথা বলতে পারেন, যেমন ব্যবস্থা করেছিলেন অক্ষয় কুমার মজুমদার।



(চলবে)

~~~~~~~~~~~~

আগের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_01888544863.html

পরের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_0468523117.html

Monday, January 27, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 7

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ


পরে ১৯৪৬ সালে আইন পরিবর্তন হলে, অক্ষয় কুমার আবার আদালতে নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আইন ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের ককেশয়েড বলে মেনে নিলেও পুব ভারতের বাঙালিকে ককেশয়েড বলে মানে নি। ফলে এবারেও অক্ষয় কুমার মার্কিন নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত ছিলেন। পরে ১৯৫০ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব আইন আরও শিথিল হতে, বন্ধুদের সাহায্য ও তৎপরতায় অবশেষে অক্ষয় কুমার মজুমদার মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জন করেন।
লস এঞ্জেলসের পাশে স্যান বার্নার্দিনোতে ঘাঁটি হওয়ার পর ফার্স্ট সোসাইটি অফ ক্রিশ্চিয়ান ইয়োগা সত্যিই ব্যাপক বিস্তৃতি পায়।  ১৯১৬ সালে ডিবিট নিজে বসবাস ও ধর্মপ্রচার করতে শুরু করেন নিউ ইয়র্কে। অক্ষয় কুমারের ধর্মমন্ডলীর নানান কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্যান দিয়েগো, সিয়াটেল, টেকোমা, পোর্টল্যান্ড, ওকল্যান্ড, মিলওয়াকি, ওয়াশিংটন ডিসি এবং নিউ ইয়র্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯১৬ সালের ধর্মসংগঠন সুমারির প্রতিবেদনে ফার্স্ট সোসাইটি অফ ক্রিশ্চিয়ান ইয়োগা স্থাণ ও উল্লেখ পেয়েছিল।
অক্ষয় কুমার মজুমদারের জীবনাবসান হয়েছিল  স্যান দিয়েগোতে, ১৯৫৩ সালের ৯ই মার্চ। তিনি সমাধিস্থ হয়েছেন লস এঞ্জেলসের পাশের শহর গ্লেনডেলে। অক্ষয় কুমার কিছুদিন অরেগনেও ছিলেন। এখনও ফার্স্ট সোসাইটি অফ ক্রিশ্চিয়ান ইয়োগা অরেগনেই সবচেয়ে সক্রিয়।
ওয়াশিংটনের স্পোক্যানের ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁদের বক্তব্য হলো এই যে খ্রীষ্টধর্মের নিউ থট মুভমেন্টের অগ্রণী হিসেবে অক্ষয় কুমার মজুমদারকে যতো গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাঁর মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জনের ঘটনা বহুল অধ্যায়টিকে মার্কিন অভিবাসন ও নাগরিকত্বের ইতিহাসে ততো গুরুত্ব দেওয়া হয় না। হয়তো অভিবাসন ও নাগরিকত্বের ইতিহাসে জাতিভেদ আর বর্ণবিদ্বেষের ভূমিকা প্রকট হয়ে পড়বে সেই জন্য। অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরাধীন জাতির স্বহায় ছিল না এমন কথাও উঠতে পারে, তাই।

(চলবে)

~~~~~~~~~~~~

আগের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_01606019516.html

পরের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_0835112172.html

Sunday, January 26, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 6

ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ


নাগরিকত্ব পাওয়ার পর, ১৯১৮ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতেও যোগ দেন অক্ষয় কুমার। কিন্তু প্রশিক্ষণের সময়েই তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে সসম্মানে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল বলে। এরপরেও অক্ষয় কুমার মজুমদারের মার্কিনি নাগরিকত্ব নাকচ হয়ে গিয়েছিল।

স্পোক্যানে মজুমদারের যত অনুরাগী ছিলেন তাঁরা অক্ষয় কুমারের কথা তাঁদের বন্ধুদের জানাতে থাকেন চিঠিপত্রে। তাঁরা মজুমদারের লেখা বই পাঠাতে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানান এলাকায় ছড়িয়ে থাকা তাঁদের নিজেদের বন্ধু মহলে। এর ফলে অক্ষয় কুমার মজুমদার মার্কিন মুলুকের নানান শহরে মাঝেমধ্যে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়া সফরে এসে বুঝতে পেরেছিলেন যে স্পোক্যানের ছোট্টো জনপদের তুলনায় লস এঞ্জেলসের মতো বড়ো শহরে তাঁর ধর্মমণ্ডলী স্থাপণ করলে প্রচার বাড়বে অনেক বেশি। ফলে ধর্মমণ্ডলীর প্রসারের সম্ভাবনাও অনেক বেশি।


তাই তিনি স্পোক্যান ছেড়ে চলে যান লস এঞ্জেলসে। বেছে নেন শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় আশি মাইল পুবের স্যান বার্নার্দিনো পাহাড়ের মাথা। সেখানে দশ একর জায়গায় শুরু করেন ধর্মোপদেশ দেওয়ার কাজ। ক্রমে জায়গাটা ছড়িয়ে যায় একশ একর জায়গায়। তৈরি হয় ক্রমে পিলার্স অফ গড। অর্ধবৃত্তাকারে সাজানো বারোটি স্তম্ভের মধ্যখানে সবচেয়ে বড়ো স্তম্ভটি খ্রীষ্টের প্রতীক। তৈরি হয় লাল মেঝে আর সাদা গম্বুজ নিয়ে টেম্পল অফ ক্রাইস্ট। টেম্পলের ভেতরের কাজ নাকি অক্ষয় কুমারের জীবদ্দশায় বা তার পরেও কখনও শেষ হয় নি।





এর মধ্যে ১৯২৩ সালে ইউ এস সুপ্রিম কোর্ট ভগৎ সিং ঠিন্ড এর নাগরিকত্বের মামলায় রায় দিয়েছিলেন যে অ্যান্থ্রোপলজিস্টরা যাই প্রমাণ করুন না কেন ভারতবর্ষের অধিবাসীদের মার্কিনি নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না। এই রায় বেরোনোর পরে লস এঞ্জেলসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির উদ্যোগে অক্ষয় কুমার মজুমদারের মার্কিন নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর ফলে অক্ষয় কুমার মজুমদার ‘প্রথম ভারতীয় যিনি মার্কিনি নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন’ থেকে হয়ে গিয়েছিলেন ‘প্রথম ভারতীয় যাঁর মার্কিনি নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গিয়েছিল’। অ্যাপিলেও কোনো ফল হয় নি।



 

Saturday, January 25, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 5

 

ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ


ওয়াশিংটনের পশ্চিমের উপকূলীয় সিয়াটেল ছেড়ে প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার পুবে স্পোক্যান নামের শহরে মজুমদার চলে গিয়েছিলেন। শহরটি ছিল আইডাহো–ওয়াশিংটন সীমার থেকে মাত্র তিরিশ কিলোমিটার দূরে। আর ক্যানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সীমার থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দক্ষিণে। স্পোক্যান নদীর পাশে আমেরিকান রকি পর্বতমালার পাদদেশের এই জনপদ খনিজ সমৃদ্ধ ছিল। তাই উনিশ শতকের প্রথম দশকের শেষ অবধি এই শহরে প্রচুর ব্যবসা চলত। সেই কারণে এই শহর বেশ ঘনবসতি সম্পন্ন ছিল। খনিজের ব্যবসা পড়ে যেতে শহরের জনঘনত্ব কমতে শুরু করে ১৯১০ সালের পর থেকে। অক্ষয় কুমার মজুমদার স্পোক্যানের রমরমা অবস্থার একদম শেষ আর পড়তি দশার শুরুটা প্রত্যক্ষ করেছিলেন।


স্পোক্যানের বিশিষ্টজনের মধ্যে তিনি সমাদৃত হয়েছিলেন। এখানেই তিনি প্রথম উপদেশ দিতে শুরু করেন ওয়েস্ট ৬১১ থার্ড অ্যাভেনিউ-তে। এখানেই তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তিনি স্থাপণ করেন ফার্স্ট সোসাইটি অফ ক্রিশ্চিয়ান ইয়োগা, তাঁর একান্ত নিজস্ব ধর্মমণ্ডলী (কংগ্রিগেসন)। এখান থেকেই তিনি তাঁর প্রথম বই, দ্য লাইফ এন্ড দ্য ওয়ে, লেখেন। বইটি ১৯১১ সালে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয় । এই শহরে বাস শুরু করার ছ বছর পরে, ১৯১১ সালে তিনি ডিবিটের সন্ধান পান।

ডিবিট তাঁর শিষ্যত্ব নেওয়ার পর মজুমদার প্রকাশ করতে থাকেন মাসকাবারি সাময়িক পত্র ক্রিশ্চিয়ান ইয়োগা মান্থলি। এখানেই তিনি মার্কিনি নাগরিকত্ব অর্জন করেন ১৯১৩ সালের ৩০শে জুন।

এই নাগরিকত্ব অর্জন খুব সহজ ছিল না। ১৯১২ সালের জুলাই মাসে স্পোক্যানের ইউ এস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে অক্ষয় কুমার মজুমদার নাগরিকত্বের আবেদন দাখিল করলে তা নাকচ হয়ে যায়। কারণ তাঁকে ককেশয়েড বা স্বাধীন দেশের নাগরিক কোনোটাই প্রমাণ করা যায় নি। তবে আদালত মজুমদারের অনুরোধে তাঁর আবেদনটি আবার শুনানির অনুমতি দেন। দ্বিতীয় শুনানিতে এক দীর্ঘ বক্তৃতায় অক্ষয় কুমার মজুমদার সওয়াল করেছিলেন যে তিনি উচ্চবর্ণ ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভুত এবং সেহেতু তিনিও আর্যজাতিভুক্ত। তাঁর সওয়ালে সম্পূর্ণ তুষ্ট না হলেও বিচারক তাঁকে নাগরিকত্ব অর্জনের অধিকার দিয়েছিলেন। এর ফলে অক্ষয় কুমার মজুমদার হয়ে গিয়েছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন।

(চলবে)

~~~~~~~~~~~~

আগের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_01583058561.html

পরের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_01606019516.html

Friday, January 24, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 4

ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



মার্কিন মুলুকে পৌঁছোনোর আগে, ১৯০২ এবং ১৯০৩ সালে অক্ষয় কুমার যথাক্রমে চীন ও জাপানে ছিলেন। এই পরিব্রাজনে তিনি আরও কৌতুহলী হয়ে পড়েছিলেন খ্রীষ্টাধর্ম সম্পর্কে। সেই কৌতুহল নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে তিনি পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাছাড়া তাঁর গুরুর নির্দেশও ছিল তাঁর মার্কিনি শিষ্যকে খুঁজে বের করার।

একটা মালবাহী জাহাজে জায়গা করে নিয়ে, বন্দরে বন্দরে ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে ১৯০৩ সালেই অক্ষয় কুমার পৌঁছেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে সিয়াটেলে। কপর্দকশূণ্য অবস্থায়। সামান্য ইংরেজি বলতে পারতেন । তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এক স্যুইডিশ পরিবার।

পরবর্তী তিন বছর তিনি মন দেন ইংরেজি শেখায় আর নিউ টেস্টামেন্ট আত্মস্থ করায়। ১৯০৬ সালে অক্ষয় কুমার যখন স্পোক্যানে বসত নিয়ে ছিলেন তখন তাঁর ইংরেজি বলার এবং লেখার ক্ষমতার প্রচুর উন্নতি হয়েছিল। তবে ১৯০৫ সালেই সিয়াটেলের আধ্যাত্মিক সংবাদ প্রতিবেদনে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন।

অক্ষয় কুমার জটিল আধ্যাত্মিক বিষয়কে সহজ সত্যের আকারে পরিবেশন করতে পারতেন। সিয়াটেলে পা রাখার পর থেকেই স্থাণীয় ধর্মানুরাগীদের মনোযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভক্তদের মতে মজুমদার ভারতবর্ষ থেকে আন্তরিক আধ্যাত্মিকতার গভীর অনুভব আর খ্রীষ্টান ধর্ম বিষয়ে একটি নতুন আকর্ষণীয় ধারণা নিয়ে আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন।

অক্ষয় কুমার নিজে তাঁর লেখায় এবং বক্তৃতায় কতকটা এমন বক্তব্যই রেখে গিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘ আমেরিকা অভিবাসে অগুণতি ধর্মালোচনার মধ্যে দিয়ে তিনি অনুভব করেছিলেন এই যে ভারতের কঠিন যোগভ্যাসের পথে আধ্যাত্মিক শান্তিলাভের পন্থাটি পাশ্চাত্যে মূল্যহীন। তিনি বুঝেছিলেন যে যিশু খ্রীষ্টের বাণীতেই নিহিত আছে মানুষের অন্তরস্থ ঈশ্বরের সন্ধান। তিনি তাঁর লেখা ও বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে খ্রীষ্ট কথিত সেই অন্তরের পথকেই আলোকিত করে চলেছিলেন।

Thursday, January 23, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 3

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



অক্ষয় কুমার তাঁর মায়ের সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠেছিলেন। নামটিও তাঁর মায়েরই দেওয়া। পশ্চিমের শিষ্যকুলে অক্ষয় কুমার জানিয়েছিলেন যে তাঁর নামের উচ্চারণ “এক হয়”। ইংরেজিতেও তাঁর নামের বানান শিষ্যেরা “Akhoy” লিখে থাকেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে তাঁর নামের অর্থ হলো ঈশ্বরপুত্র (!)। এর কারণ এই হতে পারে যে, তিনি যখন ১৯০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছোন তখন অব্যয়, অজর, অমর, অবিনাশ, অবিনশ্বর, যার ক্ষয় নেই – অক্ষয়” শব্দের এই সব অর্থ ইংরেজি শব্দবন্ধে প্রকাশ করার ক্ষমতা অক্ষয় কুমারের ছিল না।

তিনি শিষ্যদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর মায়ের দেবভক্তিই তাঁর মনে ভক্তিভাবের সিঞ্চন করেছিল। যখন তাঁর মাত্র ষোল বছর বয়স, তখন তাঁর মায়ের তিরোধান ঘটে। এরপর অক্ষয় কুমারও ঘর ছেড়ে পথে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর মা তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার যে বীজ বুনেছিলেন তাকে পুষ্টি দিয়ে মহীরুহে পরিণত করতে অক্ষয় কুমার সারা ভারতবর্ষ পরিব্রাজন করেছিলেন, নানান গুরুর শিষ্যত্ব নিয়েছিলেন। খ্রীষ্টধর্মকে সম্যক বুঝতে তিনি পৌঁছেছিলেন বেথলেহেমে। তাঁর গুরু আরুমডা তাঁকে বলেছিলেন যে শেষ পর্যন্ত অক্ষয়কুমার আমেরিকাতেই ধর্মদীক্ষা দেবেন হাজারো জিজ্ঞাসু মানুষকে।

ওয়াশিংটনের স্পোক্যানে শ্রীমদ্ভাগবতের বিষয়ে অক্ষয় কুমারের এক বক্তৃতা সভায় শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিট। দর্শকাসনে তাঁকে দেখে উৎসাহে আত্মহারা অক্ষয়কুমার মঞ্চ ছেড়ে দৌড়ে যান ডিবিটের কাছে। ডিবিট তার আগেই জঙ্গলের ভেতর দৈববাণী শুনে মন্টানার কাজ ছেড়ে, আইডাহো থেকে পরিবার তুলে নিয়ে চলে এসেছিলেন স্পোক্যানে। সেখানেই পরবর্তী অর্ধদশক ডিবিট গুরুসান্নিধ্যে কাটান। শিক্ষা সমাপনে গুরু শিষ্যকে নাম দেন “বিদ্বান”। ইংরেজি বানানটা হয়ে গেছে “Vitvan”। অর্থটা কিন্তু “যিনি সব জানেন” বলেই জানিয়েছেন মজুমদারের শিষ্যরা।

Wednesday, January 22, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 2

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



কথিত এই যে অক্ষয় কুমার মজুমদার তাঁর প্রথম শিষ্যকে মন্টানার জঙ্গল থেকে ওয়াশিংটনের স্পোক্যান শহরে টেনে এনেছিলেন। জঙ্গলের রেঞ্জারি করতে করতে দৈববাণী শুনেছিলেন র‍্যালফ মরিয়ার্টি ডিবিট, “জঙ্গল থেকে বেরোও তুমি। বেরিয়ে শহরে যাও। তোমার কাজ শুরু করো।” শহরে তাঁকে গুরু অক্ষয় কুমার মজুমদার স্বয়ং খুঁজে নেন হাজার শ্রোতার ভিড়ে।




অক্ষয় কুমার মজুমদারের গুরু আরুমডা তাঁকে বলেছিলেন যে এক শিষ্য উন্মুখ হয়ে অক্ষয় কুমারের প্রতীক্ষায় আছে, আমেরিকায়। সেই শিষ্যের সন্ধানেই অক্ষয় কুমার আমেরিকা পৌঁছেছিলেন, ১৯০৩ সালে। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার এক দশক পরে।

মার্কিন মুলুকে হিন্দু ধর্মপ্রচারক শুনে স্বামী বিবেকানন্দের কথা মনে পড়বেই। অক্ষয় কুমার মজুমদার স্বামীজীর চেয়ে বয়সে বছর দেড়েক নবীনতর ছিলেন। তিনি স্বামীজীর অনুপ্রেরণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ওয়াশিংটনের সিয়াটেলে পৌঁছেছিলেন কিনা জানা যায় না। লিখিত পঞ্জী যা আছে অক্ষয় কুমার মজুমদারের সম্বন্ধে তা তাঁর শিষ্যদের মুগ্ধভাষ। গুরুর নিজের কথাকেই বেদজ্ঞানে শিষ্যরা লিখে রেখেছেন বলে জানানো হয়েছে। তার কোথাও গুরু মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দের নামোল্লেখ করেছেন বলে চোখে পড়ে নি।

আইনজীবি পিতার আট সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠতম অক্ষয় কুমার। জুলাই ১৫, ১৮৬৪ সালে জন্মেছিলেন। কলকাতার থেকে প্রায় বত্রিশ কিলোমিটার (কুড়ি মাইল) উত্তরের এক গ্রামে। জায়গাটা আজকের দিনের উত্তর চব্বিশপরগণার টোণা কিংবা আমডাঙা হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পূর্ব সীমায়। আবার জায়গাটা কলকাতা থেকে সিধে উত্তরে উত্তর চব্বিশপরগণারই ভাটপাড়া অথবা হুগলি জেলার চন্দননগরও হতে পারে। হতে পারে হুগলি জেলার আরেক এলাকা সিঙ্গুর, যদি উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে ঝোঁকা যায়। সেই ঝোঁকে অক্ষয় কুমারের জন্মস্থল আজকের হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর বা শঙ্করহাটিও হতে পারে।



Tuesday, January 21, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 1

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ 



২০২১ সালের ১২ই আগস্ট সংবাদে প্রকাশ যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যায়  শ্বেতাঙ্গের অনুপাত কমেছে মূলত বাদামী চামড়ার লোকের ভিড়ের চাপে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে, জো বাইডেন মার্কিন মুলুকের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে, সংবাদ ছিল যে ভারতীয়রা স্থায়ী অভিবাসন ক্ষেত্রে বিডেন প্রশাসনের নীতিতে সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ভারতীয় সংবাদে থেকেই থেকেই প্রকাশ হয়ে চলেছে যে ভারতীয়দের মার্কিন নাগরিকত্বের পথ সুগম হতে চলেছে বিডেন প্রশাসনের নীতিতে, কিংবা  মার্কিন মুলুকে স্থায়ী অভিবাসনের উপর আরোপিত নানান নিষেধাজ্ঞা চলে যাচ্ছে কিংবা পুরনো সংস্করণের মার্কিনি নাগরিকত্বের সহজতর পরীক্ষা ফিরে আসছে এই সব। অর্থাৎ মার্কিন মুলুকস্থ অভিবাসী অনভিবাসী ভারতীয়দের সহজে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার সংবাদ বেশ উৎসাহের সাথে ছাপা হয়ে চলেছে ভারতে।

ভারতীয়দের মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার উৎসাহ ভারতের জন্য, ভারতীয়দের জন্য গর্বের নাকি লজ্জার তা বিতর্কের বিষয়। তবে ভারতীয়দের মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার উৎসাহ নেহাৎ নতুন নয়। সেই প্রচেষ্টার শুরু উনিশ শতকের শেষে। প্রথম ভারতীয় যিনি মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন তিনি একজন বাঙালি। তাঁর নাম অক্ষয় কুমার মজুমদার।





মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণে, লস এঞ্জেলসের উপকন্ঠে (মানে হলিউডের কাছে) স্যান বার্নার্দিনো নামে এক শহরের উত্তর-পুবের স্যান বার্নার্দিনো পাহাড়ের মাথায় এক মাইলটাক লম্বা আঁকা-বাঁকা গলির নাম মজুমদার ড্রাইভ।  বোস স্পিকারের জনক স্বর্গত অমর গোপাল বোস তো জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তাও জানা যায় না যে তাঁর সম্মাননায় মার্কিন মুলুকের রাস্তা তাঁর নামাঙ্কিত হয়েছে কিনা। অথচ রিয়াল্টোর উত্তরের ক্রেস্টলাইন নামের পাহাড়ি জনপদটায় কোনো এক মজুমদারের নামে কানাগলি আছে। আছে ক্যাম্প মজুমদার নামের একটা পাড়া । আর আছে মজুমদারের বসবাসের ছোঁয়া লাগা একটা লগ কেবিন ।





এলাকাটার স্যাটেলাইট ভিউতে গুগ্ল ম্যাপে ধরা পড়ে একটা গম্বুজওয়ালা বাড়ি যার চারপাশে চারটে মিনার, নাম মজুমদার টেম্পল। তার থেকে একটু  দক্ষিণ-পশ্চিমে দেখা যায় পিলার্স অফ গড নামে একটা জনসভাস্থল।




(চলবে)

সূত্র:

  1. Times of India: White population falls below 60% amid browning of America. https://timesofindia.indiatimes.com/world/us/white-population-falls-below-60-amid-browning-of-america/articleshow/85278338.cms?UTM_Source=Google_Newsstand&UTM_Campaign=RSS_Feed&UTM_Medium=Referral

  2.  Economic Times: Indians in Green Card queue to benefit from Joe Biden administration https://economictimes.indiatimes.com/nri/visa-and-immigration/biden-administration-likely-to-provide-us-citizenship-to-over-500000-indians/articleshow/79109416.cms
  3. https://timesofindia.indiatimes.com/world/us/us-president-joe-biden-reverses-green-card-ban/articleshow/81213904.cms
  4. https://economictimes.indiatimes.com/nri/work/joe-biden-to-propose-8-year-citizenship-path-for-immigrants/articleshow/80339761.cms
  5. https://timesofindia.indiatimes.com/world/us/biden-admin-scraps-stringent-citizenship-test-reverts-to-2008-version/articleshow/81167932.cms

~~~~~~~~~~~~

Our Album:

https://photos.app.goo.gl/7Keda9WXDs7eoXJT8

Our Videos:

https://www.youtube.com/playlist?list=PL1r_XBRd3fpA1AOFOgVhFr2Em2EvP4ljc

Readers Loved