ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ
নাগরিকত্ব পাওয়ার পর, ১৯১৮ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতেও যোগ দেন অক্ষয় কুমার। কিন্তু প্রশিক্ষণের সময়েই তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে সসম্মানে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল বলে। এরপরেও অক্ষয় কুমার মজুমদারের মার্কিনি নাগরিকত্ব নাকচ হয়ে গিয়েছিল।
স্পোক্যানে মজুমদারের যত অনুরাগী ছিলেন তাঁরা অক্ষয় কুমারের কথা তাঁদের বন্ধুদের জানাতে থাকেন চিঠিপত্রে। তাঁরা মজুমদারের লেখা বই পাঠাতে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানান এলাকায় ছড়িয়ে থাকা তাঁদের নিজেদের বন্ধু মহলে। এর ফলে অক্ষয় কুমার মজুমদার মার্কিন মুলুকের নানান শহরে মাঝেমধ্যে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়া সফরে এসে বুঝতে পেরেছিলেন যে স্পোক্যানের ছোট্টো জনপদের তুলনায় লস এঞ্জেলসের মতো বড়ো শহরে তাঁর ধর্মমণ্ডলী স্থাপণ করলে প্রচার বাড়বে অনেক বেশি। ফলে ধর্মমণ্ডলীর প্রসারের সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
তাই তিনি স্পোক্যান ছেড়ে চলে যান লস এঞ্জেলসে। বেছে নেন শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় আশি মাইল পুবের স্যান বার্নার্দিনো পাহাড়ের মাথা। সেখানে দশ একর জায়গায় শুরু করেন ধর্মোপদেশ দেওয়ার কাজ। ক্রমে জায়গাটা ছড়িয়ে যায় একশ একর জায়গায়। তৈরি হয় ক্রমে পিলার্স অফ গড। অর্ধবৃত্তাকারে সাজানো বারোটি স্তম্ভের মধ্যখানে সবচেয়ে বড়ো স্তম্ভটি খ্রীষ্টের প্রতীক। তৈরি হয় লাল মেঝে আর সাদা গম্বুজ নিয়ে টেম্পল অফ ক্রাইস্ট। টেম্পলের ভেতরের কাজ নাকি অক্ষয় কুমারের জীবদ্দশায় বা তার পরেও কখনও শেষ হয় নি।