Tuesday, January 28, 2025

Akshay Kumar Mozumdar - First Indian Émigrée to the United States - Part 8

 ক্যালিফর্নিয়ার মজুমদার গলি – ধুলোচাপা ইতিহাসের পথ



অক্ষয় কুমারের জীবনাবসানের পর স্যান বার্নার্দিনো পাহাড়ের ক্যাম্প মজুমদাররের সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ক্রেতা ওয়াই এম সি এ। তারপর কোরিয়ান ধর্ম্যাধক্ষ সান মিয়াং মুন এর ইউনিফিকেশন চার্চের অধীনে ছিল। এখন ক্যাম্প মজুমদারের আশেপাশের পুরো ক্রেস্টলাইন জুড়ে চার্চ অফ ল্যাটার-ডে সেন্টস -এর (মানে মরমনদের) আধিপত্য। ২০১৪ সালেও ক্যাম্প মজুমদারে পতপত করে উড়তে থাকা মিলিয়ন ফেমিলি মার্চের পতাকা প্রমাণ করে যে ক্যাম্প মজুমদারের মালিকানা এখনও ইউনিফিকেশন চার্চেরই।



তা সত্ত্বেও ক্যাম্প মজুমদার নামটি রয়ে গেছে। ইউনিফিকেশন চার্চ কর্তৃপক্ষ নামটা রেখে দিয়েছেন। মজুমদারের লগ কেবিনটির জায়গাতেই একটা লগ কেবিনও আছে। মজুমদার যেমন বলতেন “ঈশরের গৃহই ভক্তের আশ্রয়” সেই কথারই প্রতিধ্বনি রূপে কেবিনের দেওয়ালে  স্প্যানিসে লেখা “মি কাসা এস সু কাসা” (অর্থাৎ আমার বাড়ি তোমার বাড়ি)।





লগ কেবিনের একতলার বারান্দা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে এলোমেলো জিনিস। ছুতারের কাজের সরঞ্জজাম, বাইসনের শিং, লোহার নানান যন্ত্রপাতি। কেউ যেন ঘর গোছাতে গোছাতে অন্য কাজে আটকে গেছে। আর গোছানোর জিনিস সব ছত্রখান হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বারান্দায়।

বারান্দার বরগা থেকে একটা সাদামাঠা উইন্ড চাইম ঝোলে। তার পাশে ঝোলে প্লাস্টিকের আটপৌরে হামিংবার্ড ফিডার। একটা রুফোস হামিন বার্ড এসে থেকে থেকে সেই ফিডার থেকে চিনিজল বা শুধু জল খেয়ে যায়।



সেখান থেকে মেঠো পাহাড়ি পথ পৌঁছে দেয় পাইনবইনের সিরসিরে হাওয়া মেখে দাঁড়িয়ে থাকা পিলার্স অফ গডে। এখানে এখনও সব ধর্মের মানুষ নিজদের ধর্মের কথা বলতে পারেন, যেমন ব্যবস্থা করেছিলেন অক্ষয় কুমার মজুমদার।



(চলবে)

~~~~~~~~~~~~

আগের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_01888544863.html

পরের পোস্ট : https://projectionofnaught.blogspot.com/2025/01/akshay-kumar-mozumdar-first-indian_0468523117.html

No comments:

Post a Comment

Readers Loved