৩৮. বরাহের বুদ্ধি
পরের দিন সকালে মিন হুয়ে কোম্পানিতে পৌঁছোনো মাত্র হে হাই শিয়াং-এর অ্যাসিট্যান্ট ডেকে নিয়ে গেলো মিন হুয়েকে। মিন হুয়ে নিজের ব্যাগটা রাখারও সময় পেলো না।
কমিশনিং হয়ে গিয়ে ছিলো ডেডলাইনের আগেই। প্রজেক্ট হ্যান্ডওভারও হয়ে গিয়ে ছিলো। অবশেষে, মিন হুয়ের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ এসেছে। হে হাই শিয়াং-এর ভালো মেজাজের সুযোগ নিতে চাইলো মিন হুয়ে। জানতে চাইলো ও বাচ্চা যে কদিন হাসপাতালে থাকবে সে কদিন দু ঘন্টা বা এক ঘন্টা আগে কাজ ছেড়ে বেরোতে পারে কিনা। যদিও শিন ছি বলেছে যে ও সারা দিন সু ছনের সঙ্গে থাকবে যতোদিন না সু ছন ছাড়া পাচ্ছে হাসপাতাল থেকে। ঝগড়ার পরে মিন হুয়ে টের পেয়েছে যে শিন ছির আপাত সুবিধেজনক প্রস্তাবটা উদার নিঃস্বার্থ দান নয়। শিন ছির উদ্দেশ্য হলো সু ছনকে একলা বড়ো করে তোলা, যে ব্যবস্থাতে মিন হুয়ে কিছুতেই রাজি হবে না, সেই জন্য এখন মিন হুয়ের ছেলেকে দেখা শোনা করার সমস্ত দায়িত্ব শিন ছির ওপর ছেড়ে দেওয়াটা মোটেই যুক্তির কথা নয়। তাছাড়া শিন ছিও কিছু ঘরে বসে নেই। একটা কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওর ব্যস্ততা মিন হুয়ের থেকে বেশি বই কম নয়। যাই হোক, মিন হুয়েই বাচ্চাটার মা, সেই জন্যই মিন হুয়েই বাচ্চার দেখাশোনার কাজটায় বেশি স্বচ্ছন্দ, বেশি সড়গড়। কাজ শেষে ও সু ছনের সাথে আরো বেশি সময় কাটাবে বলে ঠিক করলো।
“হে জঁ, আপনি কী আমাকে খুঁজছেন?” জানতে চাইলো মিন হুয়ে।
“শও মিন, এখানে আসুন, বসুন আগে।” হে হাই শিয়াং-এর গলার স্বরটা একদম অচেনা যেনো, বেশ বন্ধুত্ব মাখা, “কাল রাতে সবারই খুব খাটনি গেছে।" এবারে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলবেন।
যবে থেকে মিন হুয়ে বা’অ্যানে কাজ নিয়েছে, তবে থেকে হে হাই শিয়াং কোনো দিনই মিন হুয়েকে পছন্দ করেন নি বিশেষ। তিন মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা, নতুন কাজ নিয়েছে, একটা রুগ্ন বাচ্চার জন্ম দিয়েছে, নানা রকম ছুটির বায়নাক্কা লেগেই আছে, সাও মুয়ের “সরাসরি যোগাযোগ”।
… এসব কিছু পরে। মিন হুয়েও হে হাই শিয়াং-এর প্রতি খুব উষ্ণ আনুগত্য দেখায় নি কখনো। ও কখনো হে হাই শিয়াংকে খুশি করার চেষ্টা করে নি, কিন্তু হে হাই শিয়াংও বেশ অসুবিধেই বোধ করেন মিন হুয়ের সাথে কাজ করতে। উনি মনে করেন যে মিন হুয়ে বড্ডো বেশি আত্মনির্ভরশীল মূল প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। আর ও কিছুতেই হে হাই শিয়াং-এর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয় না।
“আমই হেড কোয়ার্টার্সে জিএস১.০-এর ওপরে একটা বিশদ প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি। জানিয়ছি যে আমরা ওটার টেস্ট শেষ করেছি গত কাল। সান জঁ খুব খুশি হয়েছেন। আমাদের সকলের ব্যাপারে খুব ভালো ভালো কথা বলেছেন, প্রথা মাফিক প্রজেক্ট উদ্বোধনও করেছেন। এবার প্রোপাগান্ডা ডিপার্টমেন্ট প্রোডাক্টটাকে প্রচার করবে। সান জঁ আমাদের একটা অনুরোধ করেছেন, উনি আশা করছেন যে আমাদের ইন্টেলিজেন্ট অক্সিলিয়ারি ডায়াগনোসিস অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সিস্টেম যদি ডায়াবেটিস মেলিটাসের ও আগাম স্ক্রিনিং করতে পারে।”
মিন হুয়ে হতবাক হয়ে গেলো।
“সান জঁ হালেই দুটো টারশিয়ারি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ওদেরকে আমাদের প্রোডাক্টগুলোও দেখিয়েছেন। দুজন ডিরেক্টর খুব উৎসাহও দেখিয়েছে প্রোডাক্টগুলোর ব্যাপারে। ওঁদের আশা এই যে ডায়াগনোসিস অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সিস্টেম যদি আরো কয়েকটা রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে বিশেষত ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে - তুমি এই স্ক্রিনিং-এর কাজটা করো, আর আমার মনে পড়ছে যে দিঁ য়িফঁ এই কাজটা করতো এখান থেকে যাবার আগে। তাই না?”
ডায়াবেটিসের জন্য যে রেটিনোপ্যাথি হয় সেটাই ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। রোগটা নির্ণয় করা কঠিন বিশেষত রোগটা যখন দানা বাধতে শুরু করছে তখন। কারণ রোগটা কোনো ব্যাথা দেয় না বা চুলকুনির মতো কোনো অস্বস্তিও দেয় না। রোগটা যখন ভীষণ রকম পেকে যায় তখন দৃষ্টিতে নানান অসুবিধে দেখা দেয়।
পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় তিন কোটি ডায়াবেটিক মানুষ আছে মিন হুয়ের দেশে। যদি ফান্ডাস স্ক্রিনিং করা যায় রোগীদের, আগাম নির্ণয় আর আগাম চিকিৎসা রোগটার অবনতি আটাকাতে পারবে যথা সময়ে।
মিন হুয়ে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালো, “হ্যাঁ, উনি শুরুটা করে ছিলেন মাত্র। কাজটা বন্ধ হয়ে যায় উনি কোম্পানি ছেড়ে যাবার পরে। সাও মু গত বছরে কাজটা দিয়েছেন ওয়াং ছিং য়ুআঁকে। কাজটা এগোচ্ছে ভালোই কিন্তু কাজটা এখনো এতোটা তৈরি হয় নি যে সেটা জিএস১.০তে জুড়ে দেওয়া যাবে।”
জিএস১.০ ইন্টেলিজেন্ট অক্সিলিয়ারি ডায়াগনোসিস অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সিস্টেম হলো গত তিন বছর ধরে তৈরি করা বা’অ্যানের সমস্ত প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে সামনের সারির প্রোডাক্ট। প্রোডাক্টটা লিভার, ব্রেস্ট আর ফুসফুসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থেকে মেডিক্যাল ইমেজ স্ক্যান করতে পারে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ সব অঙ্গে কোনো ক্ষত থাকলে তা নির্ণয় করতে পারে। তার থেকে রিপোর্টও দিতে পারে। এখনকার ভার্সানটা যেহেতু সবে কাজ করতে শুরু করেছে, সেহেতু কয়েকটা ডিসাইন ফাংসন এখনো সক্রিয় হয় নি। আবার সেগুলোকে অস্থায়ীভাবে জুড়েও দেওয়া যাবে না, যেমন ডায়াবেটিস মেলিটাসের স্ক্রিনিং, ব্রেন টিউমরের ইমেজ অ্যানালিসিস। মিন হুয়ের পরিকল্পনা হলো একটা আরো পরিপূর্ণ ভার্সান আর এক বছর পরে বার করা।
“সে তো অনেক কাজ। দশ দিনে শেষ করা যাবে না কিছুতেই।” মিন হিয়ে মাথা নাড়তে লাগলো জোরে জোরে।
“আমি তোমাকে আরো লোক দেবো। ডায়াবেটিসের স্ক্রিনিংটা ব্রোশিওরে থাকতেই হবে। এই প্রজেক্টটা তুমি লঞ্চ করবে।”
“হে জঁ, যে কোনো টিমের অন্তত তিন মাস লাগবে এই অংশটা জোড়া লাগাতে। দশ দিনে করা অসম্ভব।”
“অ্যাই, একটুও আত্মবিশ্বাস নেই তোমার! সবাই বলে তুমি নাকি জিনিয়াস, তুমি নাকি এক দিনে একটা প্রোগ্রাম লিখে ফেলতে পারো যেটা বাকিরা লিখতে মাসখানেক লাগাবে।”
হে হাই শিয়াং থার্মসের কাপ খুলে চায়ে একটা চুমুক লাগালেন। কাপের ঢাকায় একটা গোজি বেরি ফেললেন থু থু করে, “যদি তুমি তোমার সব চেয়ে সেরা কৌশলগুলো কাজে লাগাও তো দশ দিনই যথেষ্ট। সান জঁ-এর চাপড়টা আমি বুক পেতে নিয়েছি, এখন কাজের সময়ে তুমি সেই চাপড়টা আমার মুখে মেরো না।”
“দশ দিন সত্যিই অসম্ভব।” মিন হুয়ে প্রায় কেঁদেই ফেললো, “হে জঁ, জিএস১.০ ইতিমধ্যেই বাজারে যা প্রোডাক্ট আছে সে সবের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। ফলো-আপ অপেরেসনে যদি কোনো ভুল না হয়, আর হাসপাতালগুলোর সাথে যদি ভালো সহযোগিতা থাকে, তাহলে আমরা পায়ের তলায় শক্ত মাটি পাবো। আমরা সেই সব ফাংসনই বানিয়ে ফেলেছি, যেগুলো যতো দূর বানানো যেতো। তার সাথে ডায়াবেটিস জুড়ে দেওয়া? দরকারই নেই তো। আমরা ডায়েবেটিস আর ব্রেনের সিটি স্ক্যান তো রেখেছি ২.০ তৈরি করার সময়ে। পুরোটা আসছে বছর লঞ্চ করতে তো কোনো সমস্যাই নেই।”
“তাহলে আমি তোমাকে আরো পাঁচ দিন দেবো।” হে হাই শিয়াং ভান করলেন যেনো শুনতেই পান নি। ক্যালেন্ডারে মার্কার দিয়ে একটা লাইন টেনে কয়েকটা শব্দ লিখলেন, “যারা অনেক কাজ করতে পারে, তুমি তাদের একজন।”
“হে জঁ -”
“ঠিক আছে, ঠিক আছে। ঘ্যান ঘ্যান করা বন্ধ করো। মিন হুয়ে, বা’অ্যান তোমাকে অনেক দয়া দেখিয়েছে। যখন তুমি অন্তঃস্বত্তা, তখন তুমি সব সময়ে দেরি করে এসেছো, কখনো আগে আসতে পারো নি। আমি একবারও তোমাকে কিছু বলেছি? তোমার ছেলে অসুস্থ, কোম্পানি তোমাকে বাড়ি থেকে কাজ করতে দিয়েছে, পুরো মাস। তুমি বাড়ি থেকেই কাজ করেছো মূলত। তুমি কোথায় এমন অভূতপুর্ব যত্ন পাবে? আমি তোমাকে বা’অ্যানে চাই। আমি আশা করবো তুমিও পরিবর্তে কিছু ত্যাগ আর কিছু আত্মোৎসর্গ দেখাবে।”
“...”
মিন হুয়ে বেরিয়ে এলো হে হাই শিয়াং-এর অফিস থেকে পুরো অস্তিত্বে অসম্মান মেখে। সাও মুকে খুঁজে বার করলো, পুরো দশ মিনিট ধরে অনুযোগ করে গেলো। সাও মুয়ের কোনো উপায়ই রইলো না চুপ করে না শুনে। ফের বললো, “যেহেতু সান জঁ বলেছেন, হে জঁকে মনস্থির করতে হয়েছে, লক্ষ্যস্থির করতে হয়েছে। হেড কোয়ার্টার্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটাই বরাবরের নীতি।”
“কী করবো আমি? না খেয়ে, না শুয়ে খাটলেও আমি পনেরো দিনে শেষ করতে পারবো না কাজটা।”
মিন হুয়ের হাঁউমাঁউ আর কিছুতেই থামে না। ওভারটাইম কাজ করতে হবে তাতে ওর ভয় নেই। কিন্তু ওর কাছে যারা কাজ করে, তারা সবাই অনেক সপ্তাহ ধরে ওভারটাইম করে চলেছে, যাতে ডেডলাইনের আগে টেস্ট শেষ করা যায়। অবশেষে একটু দম ফেলার অবকাশ পেতে, মিন হুয়ে সকলকে পুরস্কার দেবার জন্য একটা তিন দিনের লম্বা সপ্তাহান্তে ফিনিক্স পাহাড়ে একটা রিসর্ট বুক করেছে টিম বিল্ডিং-এর জন্য।
এখন এর মধ্যে হে হাই শিয়াং দুম করে এরকম একটা ব্যবস্থা করে বসে আছে, এবার সবাইকে আবার ওভারটাইম কাজ করতে হবে। কাজের দায়িত্বে থাকা মূল মানুষগুলোকে সারা রাত কাজ করতে হবে …।
“বেশ, চলো, যতো দূর করা যায়, ততো দূর চেষ্টা করে দেখি। যদি আমরা শেষ করতে না পারি তো আমি নিজে গিয়ে সান জঁকে বুঝিয়ে বলে আসব।” সাও মু আরো বললো, “সবাইকে বলো যে বেশি রাত না জাগতে, ওরা সবাই জোয়ান মানুষ, আমাকে আবার রাত বারোটার আগে ঘুমোতে হবে।”
সাও মুয়ের এক আত্মীয়ের একটা ছেলে আছে। ছেলেটা একটা প্রযুক্তি কোম্পানিতে প্রায় রোজই সারা রাত জেগে জেগে কাজ করতো, ছেলেটার বয়স আঠাশ হবার আগেই অফিসে হঠাৎ মারা যায় সে। ছেলেটা একমাত্র সন্তান ছিলো মা-বাবার। ছেলেটা মারা যাবার পর থেকে ওর মা-বাবা ভীষণ উত্তেজিত থাকে সব সময়ে। তাঁদের মন এমন ভেঙে গেছে যে তাঁরা আর নিজেদের কাজে যেতে পারেন না, তাদের সময়ের আগেই কাজের থেকে অবসর নিতে হয়েছে। পুরো পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সাও মুও ভয় পেয়ে ছিলো অনেকদিন। ও খুব কড়া হাতে কোম্পানির অল্প বয়সী কর্মীদের কাজের আর বিশ্রামের সময় নিয়ন্ত্রণ করতো।
“এটা অন্তত এইটুকু দেখায় যে হেড কোয়ার্টার্স এখনো আমাদের কথা বেশ গুরুত্ব দিয়ে ভাবে।”
মিন হুয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “আমরা আমাদের নিজেদের ওপরে বড্ডো বেশি আশা তৈরি করেছি। আবার আমরা এও চাই না যে বা’অ্যান বিক্রি হয়ে যাক।”
জিয়া জুন আর শিন ছির ফিরে আসাতে, আর সু ছনের অসুস্থতা, মিন হুয়ের মনে হচ্ছিলো যেনো এই কয়েকদিনে অনেক বেশি ঘটনা ঘটে গেছে আর ও এতো কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। কেবল মাত্র কাজই ওর মনোযোগ আর শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে নিমেষে। যদি কাজ বদলে যায়, তাহলে ও জানেও না যে ও কী করবে।
“আমার মনে হয় ঠিক উল্টো কথা।”
সাও মু চিন্তায় পড়ে ছিলো, “হেড কোয়ার্টার্স আগে কোনো দিনও এআই-কে পাত্তাই দেয় নি, কেবল মনে করেছে যে এআই নিয়ে প্রতিযোগিতা বড্ডো বেশি আর এসব বাদ দেওয়াও যায়। আমাদের প্রতিও আচরণটা এরকমই ছিলো যে ওরা সব সময়ে আমাদের ব্যাপারটা রেখে ঢেকে চলতো, এমন করে যে কখনো যেনো আমরা চট করে কারুর নজরেই না পড়ি। খানিকটা উদাসীনও থেকেছে বরাবর। আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট বানিয়েছি। ওরা খুশি হতে নাও পারে, কারণ অদের কোনো পয়সা হচ্ছে না এটার থেকে। আমরা ভালো প্রোডাক্ট যদি নাও বানাতে পারি, তাতেও ওদের যে খুব দুঃখ হয় এমন নয়। কারণ এআই নতুন আর জনপ্রিয়, তাই ওরাও লোকজন জড়ো করেছে ব্যাপারটা নেড়ে ঘেঁটে দেখার জন্য। যাতে মনে হয় যে ইন্ডাস্ট্রির প্রসার ঘটছে। হেড কোয়ার্টার্স কখনো আমাদের কোনো কাজ করতে বাধ্য করে নি আগে। এখন যে হঠাৎ আমরা যে প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে চলেছি সেটা নিয়ে খোঁজ খবর করছে, আর সেটা নিয়ে ব্যাপক প্রচারও করছে, হতে পারে বা’অ্যানের দাম বাড়ানোর জন্য।”
মিন হুয়ে অবাক হলো, “তাহলে য়ুআঁলাই সত্যিই না’অ্যান বেচে দিতে চাইছে?”
সাও মু চিন্তার চোখে তাকালো মিন হুয়ের দিকে, “এখনো অবশ্য কোনো নিশ্চিত খবর নেই। তবে এখন আরো অনেক অনেক গুজব চলছে।”
“হে জঁ ইতিমধ্যেই জানে না কিছু এ ব্যাপারে?” মিন হুয়ে জানতে চাইলো, “ওঁর কী ভয় করছে না যে উনি হেড কোয়ার্টার্সের সাথে হাত মেলালে আমরা চটে যাব?”
“এমন সময়ে, সমস্ত সিইও-ই ভাবতে শুরু করে যে যা ঘটতে চলেছে সেটা আটকাবে কী করে। হে জঁয়ের জন্য সব থেকে নিরাপদ পথ হচ্ছে আমাদের বেচে দিয়ে নিজে হেড কোয়ার্টার্সে ফিরে যাওয়া। দাম যদি ভালো পাওয়া যায় তো আমাদের পদোন্নতি হতে পারে। অবশ্যই হেড কোয়ার্টার্সে একটা ফোকর আছে কোথাও, আর যারা এর মধ্যেই ছেড়ে গেছে, তাদের জন্য খুব বেশি খালি পদ নেই। ওঁর জন্য এটা একটা জুয়াও বটে, আবার সংঘর্ষও।”
“তাহলে তো ভালো হয় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে বেধে বেচে দেওয়া। কে বলতে পারে, হতে পারে বিয়েটা একটা ভালো পরিবারেই হলো।”
“হে জঁ এখনো রাস্তা করে নিতে পারবে আমলাতন্ত্রের মধ্যে।” বললো সাও মু, “চিন্তা কোরো না। মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলা তোমার ওস্তাদির মধ্যে পড়ে না। আমি জেনে আসবো। আর আমি তোমাকে জানাবোও যদি কোনো খবর থাকে।”
“প্রথমত -” মিন হুয়ে গম্ভীর মুখে তাকালো সাও মুয়ের দিকে, “আমাদের প্রজেক্ট আর টিম যাতে একসাথে থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং এভাবেই বহু বছরের কঠিন পরিশ্রম আর তার প্রাপ্তিগুলো সহজে এক ঝটকায় কেউ আত্মসাৎ করতে বা ভাগ করতে পারবে না।”
“মিন হুয়ে, তুমি সম্পূর্ণ ভুল ভাবছো। কার কাছে বা’অ্যান আমাদের বেচছে সেটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ! তাদের সঙ্গেই আমরা চলবো যারা আমাদের সম্মান করে, না হলে আমরা খুব বেশি দূর এগোতে পারবো না। আর আমাদের হয়তো সারাক্ষণ লড়াই করে যেতে হবে।”
মিন হুয়ের ফোনটা কেঁপে উঠলো। মিন হুয়ে ফোনটা বার করে দেখলো। বললো, “আমাকে যেতে হবে। উনি কাজ শুরু করার জন্য পিড়াপিড়ি করছেন।”
***
ব্যস্ততার কাজটা শেষ হতে রাত এগারটা বাজলো। মিন হুয়ে ভেবে ছিলো শুরুতে যে কাজ থেকে বেরিয়ে পড়বে বিকেল চারটে বাজলেই। হাসপাতালে যাবে সু ছনের কাছে। যখন হাসপাতালের ওয়ার্ডে পৌঁছোলো, তখন সু ছন ঘুমিয়ে গেছে। শিন ছি নেই ঘরে, কেবল মাত্র একজন নার্স রাউন্ডে আছেন।
নিয়ম মতো কেবলমাত্র মা কিংবা বাবা - দুজনের যে কোনো একজনকে সু ছনের সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে দিতে রাজি হয়ে ছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিন ছি নিজের জন্য একটা সাময়িক যাতায়াতের কার্ড কিভাবে যেনো বানিয়ে নিয়েছে। ও বাচ্চার সঙ্গে সারাক্ষণ আছে আর হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে ভালোই আলাপ পরিচয় করে নিয়েছে।
নার্সেরা জেনে গেছে যে ও ‘সু ছনের বাবা’; এমন কী ওঁরা তো চিৎকারও করেন “ছনছনের বাবা” বলে।
“শও ছিন, আজ সু ছন কেমন আছে?” জানতে চাইলো মিন হুয়ে।
“ভালো আছে। সব কিছু স্বাভাবিক।” নার্স আরো বললেন, “ওর বাবা তো সারাক্ষণ ওর সঙ্গে আছেন, খুবই বিবেকসম্পন্ন মানুষ বলেই মনে হয় ওঁকে, আমি যখনই এটা সেটা জিজ্ঞেস করি।”
“ওর বাবা?” মিন হুয়ে থতমত খেয়ে গেলো এক মূহুর্তের জন্য, কারণ ঝৌ রু জি প্রায়ই আসে, তাই ও জানতে চাইলো, “কোন বাবা?”
“নতুন জন।”
মিন হুয়ে যে ঝৌ রু জির প্রাক্তন স্ত্রী সে কথাটা ইন-পেসেন্ট ওয়ার্ডের নার্সেরা সবাই জানেন আর ওঁরা মনে করেন যে সু ছন ওদের দুজনের সন্তান। এখন হঠাৎ করে শিন ছি - একজন নতুন মানুষ - এসে উপস্থিত হয়েছে, যার দাবি যে সে নাকি সু ছনের জন্মদাতা, কিন্তু তাঁর সাথে আবার মিন হুয়ের সম্পর্কটা হিম ঠান্ডা আর ইন-পেসেন্ট ওয়ার্ডের জনপ্রিয়তম পরচর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে শিন ছি যা সব করলো আবার - একজন রাঁধুনি এলো একবার কিছুক্ষণের জন্য, একজন সহায়ক এলো একবার কিছুক্ষণের জন্য। সু ছনের ওয়ার্ড ভর্তি নানান সুখাদ্যে আর খেলনায় - যেনো শিন ছি সারা পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে জানান দিচ্ছে যে ও-ই সু ছনের সত্যিকারের জনক।
“শিন ছি কোথায়?” জিজ্ঞেস করলো মিন হুয়ে।
“খেলাধূলোর ঘরে।”
“খেলাধূলোর ঘর রাত দশটায় বন্ধ হয়ে যায় নি?”
“উনি তো ঘরটার চাবিটা চেয়ে নিয়েছেন। বললেন যে উনি সারাদিন বাচ্চার সঙ্গে ছিলেন, রাতে ওঁকে কাজ করতে হবে, বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়ার পরে।”
মিন হুয়ে মুখে হাসি টেনে এনে বললো, “সে তো ওয়ার্ড থেকেও কাজ করা যায়।”
ও তো নিজেও তাই করেছে। ও সু ছনের সঙ্গে থাকতে থাকতেই প্রোগ্রামও লিখেছে। মাঝরাতে কেউ ওকে বিরক্ত করতেও আসে নি। ওর দক্ষতাও বেশ বেশির দিকেই ছিলো।
“এটা একটা কনফারেন্স কল। আমার ভয় একটাই যে কথাবার্তার আওয়াজে সু ছন জেগে যাবে।” শিন ছি বলেছে, “ও রোজ রাতে খেলাধূলোর ঘরেই কাটায় কারণ ঐ সময়টা উত্তর আমেরিকাতে দিনের বেলা।”
খেলাধূলোর ঘরটা করিডরের অন্যপ্রান্তে। অর ভেতরে অনেকগুলো ক্যানভাসের সোফাও আছে। একটা ষাট ইঞ্চি রঙিন টেলিভিসন সেটও আছে ঐ ঘরের পুব দিকের দেওয়ালে। মিন হুয়ে ঐ ঘরে প্রায় যায়ই না, কারণ ঘরটায় সব সময় শোরগোল চলে।
ও যেই ঘরটার দরজায় পৌঁছোলো, ‘দুম’ করে একটা শব্দ হলো, মিন হুয়ে বুঝতেই পারলো না যে কিসের শব্দ হতে পারে, তবে কোনো ভারি জিনিস মাটিতে পড়েছে সেটা নিশ্চিত।
তাড়াহুড়ো করে মিন হুয়ে দরজাটা খুললো খেলাধূলোর ঘরের। দেখলো যে মুখ লাল করে শিন ছি ঘরের মেঝে জুড়ে পায়চারি করে চলেছে। দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে যেনো ও মেজাজ হারিয়েছে।
চারপাশে চোখ চালিয়ে কাউকে নজরে পড়লো না মিন হুয়ের। মিন হুয়ে বুঝে উঠতে পারলো না যে শিন ছি কার ওপরে চটেছে।
মেঝেতে ওর ল্যাপটপটা পড়ে আছে।
মিন হুয়ে ল্যাপটপটা তুলে নিয়ে টেবিলে রাখলো। নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো, “কী হয়েছে?”
“কিছু না।” শিন ছি তখনো পায়চারি করে চলেছে মিন হুয়ের সামনে। আর বিড়বিড় করে আপন মনে কথা বলে চলেছে।
“আমি দুঃখিত। আমার আসতে দেরি হয়ে গেছে।” বললো মিন হুয়ে, “তোর যদি কিছু করার থাকে তো তুই ফিরে যা। আমি রাতে থাকবো সু ছনের সঙ্গে।”
সু ছনের ঘুম খুবই পাতলা। অল্প নড়াচড়া টের পেলেই ও জেগে যাবে। আর জাগলেই কাঁদতে শুরু করবে। একবার জাগলে অনেক সময় লেগে যায় ওকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ঘুম পাড়াতে। অপেরেসনের পরে ক্ষতটাতে ব্যাথা আছে। সেটা সামান্য ব্যাপার, তবু এগুলোই বাড়াবাড়ি হয়ে দাঁড়ায় মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে। তাই সু ছনের সঙ্গে ঘুমোনো বেশ চাপের কাজ। অনেক সময়েই সু ছনকে ভুলিয়ে ঘুম পাড়ানোর পরে বাকি রাত আর ঘুমোতে পারে নি মিন হুয়ে, তাকিয়ে থেকেছে ছাদের দিকে ভোর হওয়া অবধি।
“আমরা একটা বোঝাপড়ার মধ্যে ছিলাম। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কম্পিউটারটা গেলো অকেজো হয়ে।”
শিন ছি দাঁত কিড়মিড় করে উঠলো, ও জানেও না কিসের সাথে ওর লড়াই।
টেবিলটা অস্থিরভাবে ঘুরে চলেছে একটানা একটা আবর্তে, যেনো একটা ফাঁদে আটকা পড়া জানোয়ার, কখনো ডান থেকে বামে, কখনো বাঁ থেকে ডানে। যারা জানে না কিছু তাদের বুঝি মনে হবে যে শিন যেনো সেনাবাহিনীর প্রধান, কোনো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকৌশল নিয়ে ভেবে চলেছে।
“গন্ডগোলটা কোথায়? কিছু ভেঙে গেছে?” প্রশ্ন করলো মিন হুয়ে, “নাকি কোনো ভাইরাস?”
“আমি জানি না। কোনো ব্যাখ্যাই নেই। হঠাৎ স্ক্রিনটা নীল হয়ে গেলো।”
অধৈর্য চোখে শিন ছি তাকালোমিন হুয়ের দিকে, যেনো মিন হুয়ে আসাতে ওর চিন্তার সুতোটা এলোমেলো হয়ে জট পাকিয়ে গেছে, “আমি আমার মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করে ক্লাউডে শেয়ার করে রাখা একটা ফাইল খুলতে গেলাম। ফাইলটা একটা ড্রপবক্সের ভেতরে আছে, আর মেইনল্যান্ডে ওটা ব্লকড। আমি আর কিছুতেই ফাইলটা খুলতে পারছি না।”
“বসতে পারবি?” মিন হুয়ে বললো, “এরকম করে হাঁটাচলা করিস না, মাথা ঝিম ঝিম করবে।”
শিন ছি তক্ষুণি চিড়বিড়িয়ে উঠলো, “একটা কথা জানিস কী? এসব ঝামেলার মূলে হলো তোর সাথে আমার দেখা হওয়া …”
“...”
“আমাকে একটা রিসেপসনের নেমতন্ন দেওয়া হয়ে ছিলো। আর আমি দেখলাম যে তুই একটা অন্য লোকের কোলে বসে পড়লি। লোকটার বউ তোর সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করছে দেখে আমি কিছুতেই থাকতে পারলাম না, আমি তোকে সাহায্য করতে গেলাম। তারপরেই তুই হঠাৎ করে বললি যে তোর একটা বাচ্চা আছে, আর বাচ্চার বয়স এর মধ্যেই তিন পেরিয়েছে।”
“শিন ছি, শান্ত হ …”
“তুই জানিস আমার একটা জন্মগত হার্টের অসুখ আছে। কিন্তু তুই কক্ষণো ভাবিস নি যে ও এটা আমার থেকে পেতে পারে? আমি বুঝতে পারছি না, আমি তো বলব, কিছুই যায় আসে না, আমরা দুজনেই রাজি হয়ে গিয়ে ছিলাম সম্পর্কটা ভেঙে ফেলার জন্য, কোনো ঝুটঝামেলায় না গিয়ে, তাহলে তুই নিজের পেটটা খালি করে নিলি না কেনো,আর নিজের জীবন যাপণ করলি না কেনো? কেনো তোকে ওর জন্ম দিতেই হবে আর ওকে এই জন্মের অপরাধে মর্মান্তিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে? তুই কী কল্পনা করতে পারিস যে একটা তিন বছরের বাচ্চার কী ভীষণ ভয় করে এরকম একটা সাংঘাতিক অপেরসনের মুখোমুখি হতে? এটা পুরোপুরিই - কিভাবে তুই সহ্য করতে পারিস আর কিভাবে তুই সহ্য করতে চাস? তুই কী কখনো এই পরিণতিগুলোর কথা ভাবিস নি? তোর বুদ্ধি নয় তো, শুয়োরের বুদ্ধি!”
“...”
“আসলে এর মধ্যেই আমি আমার অবসরের টাকা জমিয়ে ফেলেছিলাম, আর কয়েক বছরের মধ্যেই আমি পৃথিবী দেখার জন্য বেরিয়ে পড়তাম, এখন হঠাৎ করে কোথা থেকে একটা ছেলে এসে উপস্থিত, আমি এতো ভয় পাচ্ছি যে কাজ ছেড়ে ছুটিতেও যেতে পারছি না, এমনকি ব্যবসার কাজেও কোথাও যেতে পারছি না!”
“এখনই কাজ ছেড়ে দেওয়াটা কী খুব তাড়াহুড়ো নয়?” মিন হুয়ের গলার স্বর কাঁপছে, “তোর তো সবে তিরিশ বছর বয়স …”
“এই মাত্র একটা - তাহলেই ডিল শেষ হয়ে যেতো।”
যতো কথা বলছে, ততো বেশি রেগে যাচ্ছে শিন ছি, “লোকে আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে, আমি একটা বক্তব্য রাখব। অনেক ক্ষণ কেটে গেলো, আমি কিছুই বলি নি, ওরা হয়তো ভাবছে যে আমি আর এই ডিলটা চাই-ই না।”
মিন হুয়ে চোখ পিটপিট করলো, “যদি এটা শুধু একটা মিটিং হয়, যদি কম্পিউটারটাই খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তুই তো ফোন থেকেও কথা বলতে পারিস।”
“সেল ফোনও ভেঙে গেছে।”
যতোক্ষণ না মিন হুয়ে কানে হাত চাপা দিলো ততোক্ষণ শিন ছি চীৎকার করতে লাগলো, খানিক ভেবে মিন হুয়ে বললো, “হুহ্” আবার বললো, “এতোগুলো ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স তুই একসাথে ভেঙে ফেললি কী করে?”
“আমি ফেলে দিয়েছি।”
মিন হুয়ে তাকালো শিন ছির দিকে, ওর হাসি পাচ্ছিলো, কিন্তু হাসতে সাহস করলো না, “বেশ, সব আমার দোষ। সবই আমার দোষ। আমাকে ক্ষমা কর। আমাকে তোর কম্পিউটারটা দেখা।”
“আমার কম্পিউটার দেখবি? কে রে তুই?”
“দেখি, আমি সারাতে পারি কিনা …”
“পারবি সারাতে?”
“আমি কম্পিউটার ওস্তাদ। ভাবিসটা কী?”
মাথা ঝিমঝিম করা বন্ধ করতে শিন ছি অবশেষে মিন হুয়ের পাশে একটা চেয়ার দেখে বসে পড়লো। মিন হুয়ে কম্পিউটারটা অন করে চালালো। অনেক ক্ষণ ধরে কিছুই হলো না। “এটাতে একটা নীল পর্দা দেখা দেবার কথা না? এটা একটা কালো পর্দা দেখাচ্ছে কেনো?”
কয়েকটা বিপের পরে পর্দায় আলো জ্বলে উঠলো, আবার নিভে সব অন্ধকার হয়ে গেলো, “আমি সারাতে পারব। ঘন্টা খানেক লাগবে।”
“আমার এখনই কাজে লাগবে এটা।”
“তাহলে আমার কম্পিউটারটা ব্যবহার কর। আমি তোকে ড্রপবক্সটা পেতে হেল্প করবো।”
মিন হুয়ে দৌড়ে গেলো ওয়ার্ডে, নিজের কম্পিউটারটা আনতে। কম্পিউটার খুলে, তাড়াতাড়ি কয়েকটা কাজ করে নিলো, “ড্রপবক্স পাওয়া গেছে। লগ ইন কর।”
শিন ছি এক ঝলক দেখলো মিন হুয়ের দিকে, চুপ করে, মন দিলো কম্পিউটারে টাইপ করায়।
“যাই হোক, তোর কী মনে পড়ে যে তুই একবার দাবা খেলায় একবার জিতে ছিলি আর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলি যে আমি তোকে ইচ্ছে করে জিতিয়ে দিলাম কিনা?”
“তুই বলেছিলি ওটা একটা কৌশলের ভুলে হয়েছে।” টাইপ করতে করতে, মাথা না তুলেই উত্তর দিলো শিন ছি।
“আমি তোকে ইচ্ছে করে জিততে দিয়ে ছিলাম।”
শিন ছি তাকালো মাথা তুলে, ভ্রুতে ভাঁজ, "কেনো?”
“কারণ বুদ্ধিটা আমার, শুয়োরের নয়।”
~~~~~~~~~~~~
সম্পূর্ণ বই বিনামূল্যে : https://dl.bookfunnel.com/lcj5vznt96
Link to Previous Post in the Series : https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/09/jpda-chapter-37.html
Link to following Post in the Series : https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/09/jpda-chapter-39.html