৫৪. অ্যাকুইজিসন
পরের দুটো সপ্তাহ কাটলো অবাক নিস্তব্ধতায়।
কোনো খবর নেই হেড কোয়ার্টার্স থেকে। হে হাই শিয়াং-ও রহস্যময় হয়ে উঠছে কেমন যেনো।
বহুবার সাও মু চেষ্টা করেছে হে হাই শিয়াং-এর থেকে খবর বার করার, কিন্তু উত্তরে হে হাই শিয়াং একটাই বাক্য বার বার বলেছে, “আমার পরিস্থিতিতে বলা সম্ভব নয়, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।”
একই সময়ে হে হাই শিয়াং ক্ষান্ত দিলো ম্যানেজমেন্ট টিমের লোকেদের নানান খুঁত খুঁজে বের করায়। সবাই চুপচাপ টের পেতে লাগলো যে বা’অ্যান একটা মোড়ে উপস্থিত যেখানে চোরা স্রোত চলছে।
কিছুই শোনা যায় না।
ম্যানেজমেন্ট টিম মিটিং-এর পর মিটিং করে চললো। সবাই অস্বস্তিতে।
শুধু মিন হুয়ে ছাড়া সবাই নিজেদের তৈরি করে ফেলেছে। মিন হুয়েই খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছে যে ও কিছুতেই চেং ছিরাং-এর সঙ্গে কাজ করবে না।
একটা সফল এমবিও নিশ্চয়ই একটা নতুন শুরু যে কোনো মানুষের কর্মজীবনে। গুয়ান ছাও কিংবা দং লি সফল কোম্পানি, কিন্তু শেষে কী হবে তা কিছুতেই বলা যায় না।
ভালো অথবা মন্দ - দুয়ের কথাই ভাবা যেতে পারে। দুটো কোম্পানিই খুব বড়ো। ওরা কর্মীদের চিকিৎসার জন্য যে সাহায্য দেয়, অন্যান্য সুবিধে যা দেয়, শিল্পমহলে ওদের কদর - সবই বা’অ্যানের তুলনায় অনেক বেশি।
অন্য একটা কোম্পানি অধিগ্রহণ করাটা যেনো একটা পয়সাওয়ালা লোকের বাড়িতে একটা দরিদ্র মেয়ের বউ হয়ে যাবার মতো।
যাই হোক, সমস্ত প্রশাসনিক বিভাগ, কর্মী, প্রজেক্ট - সবই ঢেলে নতুন করে সাজানোর জন্য যা কিছু পরিবর্তন সে সবের মধ্যে দিয়ে যাবে। বলা কঠিন যে কর্তৃস্থানীয়, নেতৃস্থানীয় কর্মীদের রাখা হবে নাকি ছেঁটে ফেলা হবে।
সবাই যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত সেটা হলো গুয়ান ছাওয়ের সাথে সামিল হয়ে যাওয়া।
গুয়ান ছাও-এর নিজেরই একটা বেশ শক্তিশালী আর অ্যান্ড ডি কেন্দ্র আছে। তিনশোরও বেশি কর্মী নিয়ে। সবাই উচ্চশিক্ষিত, অর্ধেকের বেশি বিদেশ ফেরতা। সহজেই বলা যায় যে প্রতিভার অভাব নেই। ওদের কাজ-কারবার প্রায় সবই বা’অ্যানের মতো।
দিঁ য়িফঁ, যাকে বা’অ্যান তাড়িয়ে দিয়েছে যৌন হেনস্থার অভিযোগে, সে চেং ছিরাংএর থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছে গুয়ান ছাও-তে কাজ করে। যদি বা’অ্যানকে গুয়ান ছাও অধিগ্রহণ করতে পারে তাহলে বা’অ্যানে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই হবে, আর যে পদের লোককে সহজে সরানো যায়, যেমন পার্সোনেল ডিরেক্টর এবং সেলস ডিরেক্টর, তাদের বিপদ আরো বেশি।
য়িন শুয়ের মাতলামির ব্যাপারটার পরে, মিন হুয়ে আর শিন ছি আবার আগের মতোই তাল মিলিয়ে চলতে লাগলো। দুজনে এক শহরেই বাস করে, দুজনের একটাই সন্তান, শিন ছির হোটেল আর মিন হুয়ের অ্যাপার্টমেন্ট একই চৌহদ্দিতে, কিন্তু ওরা পরস্পরের মুখোমুখি হতে চায় না।
শিন ছি দুপুরে বা বিকেলে সু ছনের কাছে যায়, কখনো ওর সাথে একবার খেতে আসে, একটা ছোট্টো ঘুম দিয়েও যায় কখনো, কখনো ওকে কোনো মিউজিয়ামে নিয়ে যায় আঁকা ছবি দেখাতে, অথবা কোনো অ্যামিউজমেন্ট পার্কে বাম্পার কার চড়তে যায়। যাতায়াতের ছন্দটা হলো দিনে একবার।
অবশ্যই মিন হুয়েকে ওভারটাউইম করতে হয় কখনো কখনো, অথবা অন্য কাজ থাকে, কাজের জায়গা ছেড়ে বেরোতে পারে না, তখনো শিন ছি এসে সু ছনের দেখাশোনা করে। যদি ও নিজে আসতে না পারে তো ও ইয়ুন লুকে পাঠায় আর বেবি সিটারও।
মিন হুয়ের দায়িত্ব পুরো রাতটার। সপ্তাহান্তের দুটো দিনের দায়িত্ব একদিন করে দুজনের প্রত্যেকের ঘাড়ে।
সমস্ত যোগাযোগ চলে টেক্সট মেসেজে। সহজতম বাক্যে, সব থেকে কম সংখ্যক শব্দে, ঝগড়া নেই, অনুযোগ নেই।
শিন ছি লেখে, “শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ আসবো, সু ছনকে নিয়ে ওসান পার্ক যাবো, পার্কেই রাতের খাবার খাবো, সাতটার সময়ে বাড়ি ফিরবো।”
মিন হুয়ে সম্মতি দেয়, “ওকে।”
***
মিন হুয়ে জানায়, “সু ছনের হলুদ সোয়েটারটা পাচ্ছি না। হারিয়ে গেছে?”
শিন ছি আশ্বস্ত করে, “আমার কাছে আছে।”
***
শিন ছি জানায়, “কাল থেকে পরের দু দিন আমি বেজিং-এ থাকবো। এই উইকেন্ডে তোকে একলা বাচ্চা সামলাতে হবে, ওকে?”
মিন হুয়ে আশ্বস্ত করে, “ওকে।”
***
মিন হুয়ে জানায়, “সু ছনের আর্ট ক্লাসে পরের টিউশন ফি দিতে হবে, বত্রিশশো য়ুঁআ।”
শিন ছির প্রশ্ন, “কার্ডটা কী হারিয়ে গেছে?”
মিন হুয়ে উত্তর দেয়, “না হারায় নি, আমি জানাচ্ছি তোকে।”
শিন ছির প্রত্যুত্তর, “বুঝলাম।”
***
মিন হুয়ে জানালো, “একটা মিটিং-এর জন্য ঝৌ রু জি গেছে গুয়াংঝৌ। আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে ঝি ঝুকে দেখার জন্য।”
শিন ছি মনে করিয়ে দেয়, “এসব কথা আমাকে বলার দরকার নেই।”
মিন হুয়ে ব্যাখ্যা করে, “তার মানে আমি বুধবার রাতে হাসপাতালে থাকবো। তুই কী সু ছনকে তোর সঙ্গে রাখতে পারবি?”
শিন ছি কাজের কথায় এলো, “কটার সময়ে আসতে হবে বল?”
মিন হুয়ে উত্তর দিলো, “সাতটায়।”
শিন ছি সম্মত হলো, “ওকে।”
****
মিন হুয়ে ইয়াও ঝি ঝুয়ের সঙ্গে রইলো পরপর চার দিন। ঝি ঝুয়ের স্তনের ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে বড়ো করে লিভারে থাবা বসিয়েছে, সেটাকে বাগে আনার জন্য কেমোথেরাপি চলছে। তার সঙ্গে তলপেটের গহ্বরেও মেটাস্ট্যাসিস হয়েছে। ক্যান্সার ধরেছে কোমরে নিচের দিকে মেরুদন্ডেও। ও যেনো রোগা হতে হতে হাওয়াতে মিশে যাবে প্রায়, কেবল মাত্র ব্যাথা আর বমি ছাড়া প্রায় কিছুই বলতে পারছে না, ওর খিদেও নেই একদম। কেমোথেরাপিতে ওর বমি আর ডায়ারিয়া শুরু হয়েছে, পাকস্থলীতে টান ধরেছে, খুব জ্বর, কোমা, সারা শরীরে জলাভাব, কিছুতেই ঘুমোতে পারছে না ব্যাথা মারা ইনজেকশন না দিলে। ঝি ঝুকে দেখতে দেখতে মিন হুয়ের কেবল মনে পড়ে যাচ্ছিলো ওর নিজের মায়ের শেষের দিনগুলোর কথা, কিছুতেই ও নিজেকে রুখতে পারছিলো না সেই দিন গুলোর কথা না মনে করে, যখন মায়ের ওপর অত্যাচার চলছিলো কেমোথেরাপির যাতে মায়ের বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর থেকেও দুর্বিষহ হয়ে যায়।
এক রাতে ঝি ঝু হঠাৎ জেগে উঠলো, যদিও প্রায় সারা দিনই ও ঘুমিয়ে থাকে, মিন হুয়ের হাতে হাত রেখে বললো, “শও হুয়ে, আমার হয়তো খুব বেশি দিন নেই …”
“কী যা-তা বলছো, তাই কী করে হয়! রু জি তোমার জন্য সব থেকে নতুন নতুন ওষুধ ব্যবহার করছে বলে কথা …”
“কোনো কাজে লাগে না।”
ওর মুখটা ফ্যাকাসে, খুব কষ্ট করে হাসলো, “আমি তৈরি।”
“ঝি ঝু – –”
“যারা তৈরি তারা কেউই এই ব্যাপারটার জন্য তৈরি নয় …”
মিন হুয়ে জানে না যে কী বলা যায়।
“আমি শুনেছি যে তোমার মা-ও ক্যান্সারে মারা গেছেন। সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যাবার পরে বলা যায় যে তোমার এসবের অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।”
“তা বটে …” বাঁকা হাসি নিয়ে বললো মিন হুয়ে।
“ছিং, আমাকে সাহায্য করো তৈরি হতে।”
যদিও ঝি ঝু ভীষণ অসুস্থ আর বিকট দেখতে হয়ে যাচ্ছে সমানে, তবুও মিন হুয়ের মনে হলো যেনো এখনো ঝি ঝু সুন্দরী। ওর মুখশ্রীর সূক্ষ্ম অংশগুলো আর ত্রিমাত্রিক রৈখিকতা, বিশেষ করে একজোড়া আমন্ডের মতো চোখ, রোগা মুখে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যেনো।
মিন হুয়ে মাথা নিচু করে খানিকক্ষণ ভাবলো, তারপর বললো, “যদি তেমন সময় ঘনিয়ে আসে তো, আমি কথা দিলাম।”
“শিয়া শিয়া।” ঝি ঝু হাত চেপে ধরলো মিন হুয়ের, “আমি সব সময়ে ভেবেছি যে ও ওর ক্যারিয়ারটাকে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসে, কিন্তু ব্যাপারটা সে রকম নয়। আমি ওর জীবনের একটা অংশ, আর আমার ক্যারিয়ারও ওর জীবনের একটা অংশ, আর এই দুটোর মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “আমি যদি প্রতিযোগিতায় না যেতাম, তাহলে আমি জীবনের আরো চারটে বছর ওর সাথে কাটাতে পারতাম …”
“সবারই কম বেশি মেজাজ আছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিযোগিতা স্বাভাবিকও।”
“শও হুয়ে, আমি যাবার পরে, তুমি কী ওর সঙ্গে থাকতে পারবে?” হঠাৎ জানতে চাইলো ঝি ঝু।
“না।” মিন হুয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বললো, “আমার যে অন্য এক জন আছে।”
“ওকে।”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো ঝি ঝু, “তাহলে আমার রু জির জন্য রইলো কেবল ঐ নার্সদের একজন কেউ।”
ঝৌ রু জিকে নার্সেরা ভালোবাসে তার ভালো স্বভাবের জন্য, কোনো অহঙ্কার নেই, ঠাট্টা করতে ভালো বাসে।
যখন ওর আর ঝি ঝুয়ের ডিভোর্স হয়ে গিয়ে ছিলো, তখন ওর মন পাবার জন্য অনেক নার্স চেষ্টা করেছে। একেক সময় খুব বাড়াবাড়ি হলে, ওকে পাঁচজন নার্স একসাথে ভালোবেসে দুপুরের খাবার দিয়ে গেছে।
“অমন কথা ভেবো না।” মিন হুয়ে কেবল ওকে স্বান্তনা দিলো মাত্র, “তুমি সুস্থ হয়ে উঠবে।”
মিন হুয়ে রাত নটার সময়ে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরলো। নিচের হলে মুখোমুখি হয়ে গেলো লিন শি য়ুয়ের। এক কোণে সোফায় বসে ছিলো ও। মন দিয়ে ল্যাপটপে কিছু খুঁটিয়ে দেখে চলে ছিলো, নিচু স্বরে একটা ব্লুটুথ হেডসেটে কথা বলে চলে ছিলো।
ও এতো মনোযোগ দিয়ে কাজ করছিলো যে মিন হুয়ে পাশ দিয়ে চলে যেতেও ও খেয়াল অবধি করলো না। মিন হুয়ে এলিভেটরে পা রাখলো মাথা ভরতি অনুমান নিয়ে, চাবি ঘুরিয়ে দরজা খুললো, আর দেখলো যে শিন ছি বসার ঘরের সোফায় বসে আছে, আর কম্পিউটারে কাজ করছে। ওর চারপাশে নানা ধরণের চিহ্ন, বিটস হেডসেট পরে আছে কানে, মনে হচ্ছে একটা মিটিং-এ আছে। ও নিচু স্বরে ইংরেজিতে কথা বলছে। ও যেই মিন হুয়েকে আসতে দেখলো, অমনি ও ওর ফোনটা মিউট করে দিলো, হেডফোনটা খুলে ফেললো, বললো, “নি খো লাইলে মা?”
“হ্যাঁ।” পায়ে চপ্পল গলিয়ে নিলো মিন হুয়ে।
শিন ছি নিজের ব্যাগে কাগজপত্র পুরে নিলো, ওর দিকে এক ঝলক দেখলো, বললো, “ছন ছন এর মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার কিছু কাজ আছে। আমাকে কোম্পানিতে ফিরে যেতে হবে।”
“আমি এই মাত্র নিচে লিন শি য়ুয়েকে দেখলাম।”
“আমরা একটা এগ্রিমেন্ট খুঁটিয়ে দেখছি। ওর তাড়া আছে। ও ওপরে আসতে পারবে না। তাই ফোনেই কথা বলতে হলো।”
“শিন ছি, আমি লিন শি য়ুয়েকে এই বাড়িতে দেখতে চাই না।” বললো মিন হুয়ে খুব গম্ভীর ভঙ্গিমায়।
“ও আমার সেলস্ ডিরেক্টর, এটা একটা সেলস্ ডিল, এটা একটা কাজ।”
“আমি ওকে দেখতে পারি না।” চেঁচিয়ে উঠলো মিন হুয়ে।
“সেই জন্যই আমি ওকে ওপরে আসতে দিই নি।” শিন ছির স্বর শান্ত।
“এটা ঠিক নয়। আমি ওকে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই না!”
“তোর কথা আমি শুনব কেনো?” ঠান্ডা স্বরে বললো শিন ছি, “তুই নিজেকে কী মনে করিস?”
“লিন শি য়ুয়ে মিথ্যেবাদী।”
“হতে পারে। তুইও নস কী?”
মিন হুয়ে নিজের শোবার ঘরে ঢুকে গিয়ে দরজাটা জোরে বন্ধ করে দিলো।
দশ মিনিট পরে ও দরজা খুললো। ততোক্ষণে শিন ছি চলে গেছে।
****
হপ্তা দুয়েক পরে একটা ভালো খবর এলো।
এএআর জানালো সাও মুকে যে য়ুআঁলাই একটা উত্তর দিয়েছে আর ওরা ম্যানেজমেন্ট টিমের দরে আর শর্তে সন্তুষ্ট। এমনকি ওরা একটা কাঁচা বিক্রির চুক্তিও সই করেছে।
সমস্ত কাগজপত্র তৈরি হলে পর, দুটো কোম্পানি প্রথাসিদ্ধ চুক্তি সই করতে পারবে দিন তিনেক পরে।
একটা বড়ো পাথর যেনো নেমে গেলো ঘাড় থেকে মাটিতে। সবাই উল্লাস না করে থাকতে পারলো না। ব্যাক্তিগত পুঁজির দলও খুব খুশি। সমস্ত কোম্পানি মিলে দুটো মিটিং করলো ভবিষ্যতে কোম্পানির কাজ কী হবে আর কিভাবে হবে সেই সব ঠিক করার জন্য যার মধ্যে ছিলো ম্যানেজমেন্ট টিমের কী অবস্থান হবে, বার্ষিক বেতনই বা কতো হবে এইসব আর কী।
তৃতীয় দিনের সকালে এএআর সই করার জন্য সমস্ত নথি তৈরি করে ফেললো। কিন্তু অন্যদিকে কোনো সাড়া শব্দ নেই।
শেষে সাই বিঁ জিয়ে ফোন করে বললেন, “দুঃখিত, আমি আজকে চুক্তি সই করতে পারবো না। একজন ক্রেতা হঠাৎ এসে বেশি দর দিয়েছে।”
“কিন্তু আমরা তো কাঁচা চুক্তি সই করেই ফেলেছি।” , রাগের সঙ্গেই বললো এএআরের তরফে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
“সেটা তো একটা কাঁচা চুক্তি। পাকা কিছু নয়।” খুব ধীর ভাবে সাই বিঁ জিয়ে বললেন, “তোমরা যদি দর বাড়াতে রাজি না থাকো।”
সবাই ব্যাপারটা অনেক ক্ষণ ধরে আলোচনা করলো। তিন ব্যক্তিগর পুঁজির মালিক ভয়ানক চটে গেলেন। তবে এএআর খেলতে লাগলো, “তেরো কোটি কুড়ি লাখ আমাদের শেষ দর।”
“খুবই দুঃখের কথা।” সাই বিঁ জিয়ে বললেন হালকা স্বরে।
দু দিন পরে গুয়ান ছাও ইন্টারন্যাশন্যাল ঘোষণা করলো প্রথামাফিক যে ওরা বা’অ্যান কিনেছেন তেরো কোটি তিরিশ লাখে।
যখন সাও মু সংখ্যাটা শুনলো, তখন ও চমকে উঠলো।
“ওদের দর আমাদের থেকে মাত্র দশ লাখ বেশি!" সাও মু বললো, “কী করে এটা সম্ভব যে ওদের দরটা আমাদের দরের এতো কাছাকাছি?”
“এর মধ্যে ঘোটালা কিছু নিশ্চয়ই আছে।” ভ্রূ কুঁচকে বললো ইয়ান চেং লি।
“এমন কী হতে পারে যে হে হাই শিয়াং আমাদের দরটা বলে দিয়েছে চেং ছিরাং-কে?” মিন হুয়ে তার অনুমান প্রকাশ করলো।
“হতে পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া, ও কিছুতেই স্বীকার করবে না।” শু গুয়াং জিয়াঁ বললো।
সব্বাই ঘ্যানঘ্যান করলেও, সব্বাই চটপট বাস্তবটা মেনে নিলো। যাই হোক সবার পরিবার আছে তাদের ভরসায়, কেউই কাজ ছেড়ে দিতে চাইলো না, মিন হুয়ে ছাড়া।
~~~~~~~~~~~~
সম্পূর্ণ বই বিনামূল্যে : https://dl.bookfunnel.com/lcj5vznt96
Link to Previous Post in the Series : https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/09/jpda-chapter-53.html
Link to following Post in the Series : https://projectionofnaught.blogspot.com/2024/09/jpda-chapter-55.html