Showing posts with label Bengali Poems. Show all posts
Showing posts with label Bengali Poems. Show all posts

Friday, June 20, 2025

Bhatmala - 08

 ৮ ভাট


আরেকটা সকাল। ঠিক আগেরটার মতই। দিশাহীন চিন্তামগ্ন;

অকারণ উচ্ছাসক্লান্ত; শূণ্যতাবদ্ধ অনির্দেশ প্রতীক্ষায় ......

...... দীর্ঘশ্বাস মথিত......

  জেগেই

শপথ নিই বীতকাম হবার। তারপর আনাজের মত বেঁচে

থাকি দুপুর বিকেল সন্ধেবেলা। সাফ করে যাই বেঁচে থাকার

জঞ্জাল, গঞ্জনা গুঞ্জনে, নিঃশব্দ অশ্রুপাতে, নির্বিকারেও।

        তবু ঘুমঘোরে

মেতে ওঠে সাধ – আসুক ভোরের স্বপ্ন, স্বপ্নে সন্ততি 

আলোকিত করুক স্বর্গবাস।





Thursday, June 19, 2025

Bhatmala - 07

 ৭ নং ভাট


আবার সকাল। রোদের হলকায় সাংসারিক বোধগুলো

আঠালো কুয়াশা জমাল অ্যাডামস্‌ অ্যাপেল ঘিরে। নোনা

ঢল নেমে এল চোখের কোণে ঘনীভূত বেদনাপ্লুত মেঘ থেকে।

নিরাশা নিমগ্ন অস্তিত্ব হালকা বাতাস কিংবা বাতাসে হালকা

হতে চেয়ে গুটিগুটি খিড়কির দিকে এগোয়

আর তখনই সেলফোনে

রিনরিনিয়ে রমনীয় স্বপ্ন গান গেয়ে ওঠে। জীবন আঁকড়ে ধরে বলে,

“ওপাড়ে তো সে; একটা মাত্র চুমুর অধিকারে, যে তোমার কোলে মাথা রেখে মরতেও পারে”।




Wednesday, June 18, 2025

Bhatmala - 06

 ৬ নং ভাট


আরও একটা অলস সকাল। রোদের হলকা এসে মুখে

লাগতেই পিঠ ফিরিয়ে বাঁচানো গেল দুচোখের পাতায়

বন্দী ঘুম। হলকাতে মোম গলানো ওম নেই; আছে তাত।

পিঠের জ্বলুনিতে উপে গেল উদ্বায়ী ঘুম।

শুরু হয়ে গেল কঠিন

কঠোর কর্মমুখর দিন। বিমুখের কান ধরে পাশ ফেরায় যাঁতার

দিকে; পিঠের জ্বালা চারিয়ে দেয় পেটের ভেতর। অমনি চালু হয়ে

যায় হাতপা।

  তারপর পারদ চড়ায়, আবার নামায়। জীবনটা শুষে

নিয়ে শরীরটা ফেলে দেয় বিছানায়। আর শরীরে গড়াতে থাকে রাত।

ক্লান্ত স্বপ্নে তবু ছেয়ে থাকে নরম ভোর! ছুটির ভোর!





Tuesday, June 17, 2025

Bhatmala - 05

 ৫ নং ভাট



আজও সকাল হলো; এবং-

কবিতাকে সর্বজনগ্রাহ্যি 

করার অভিপ্রায়ে লিস্টারিনে জল মেশালাম যেই অমনি

সে ব্রাত্য হয়ে গেল।


আর সে কবিতাও নেই; নেই সেই সব আন্তরিক বিকেল

সন্ধে। ঠাঁইঠাই ঠনঠন আবহে হিসেবের আভাস।


ভ-য়ের অধিষ্ঠান সেখানেই; বাকি সবই লো; ভেঙে পড়ে,

উড়ে যায় ঝড়ে, কিংবা ক্যাম্পে ছড়ায় বাসাটুকু।


Monday, June 16, 2025

Bhatmala - 04

  ৪নং ভাট



এটাও একটা সকাল। ঘুম থেকে উঠে শুনেছিলাম

আমি বাঙালি; আর ওরা বাংলাদেশি। তারপর

উঠোনের বেড়াটা করোটিকে চিরে দিয়েছে – অনেকবার

আমি মুখু্য্যে, ওরা মুসলমান; কিংবা আমি নাগা

ওরা মিজো; আমি শিয়া, ওরা সুন্নি; আমি নর্ডিক

ওরা ইহুদী; ...... আমি আছের দলে, 

ওরা নেইয়ের অথবা উল্টোটা; 

কাঁটাতারের দুপাড়ে আঙুলে

আঙুল ছুঁইয়ে তরঙ্গিত ঋতুচক্রময় যাপন সৃষ্টি সম্মোহন

নিয়মিত নামতা পড়ি সেই ধারাপাত ধরে, গুণিতকে

অমেয় গুণ-মান 

শস্ত্রবান তারারা ঝরে পড়ে অমোঘ 

ঘাসবনে ফুল হয়ে ফোটে। জং ধরা কাঁটাতার আর

আমি দেখি। আমি ধারাপাতে খুঁজি তুল্যতম ব্যাখ্যা,

তারের মুচকি হাসিতে মিশে যায় দীর্ঘশ্বাস। সন্ত্রস্ত 

দুই অস্তিস্ব নিঃস্বর সচেতন এড়িয়ে যাই ক্লিশে সীতোবাচ


মাটির গভীরে মিলিয়ে যাই আমি, ওরা, আমরা, রেখে দিয়ে যাই কাঁটাতার।




Sunday, June 15, 2025

Bhatmala -03

 ৩ নং ভাট


আরেকটা অলস সকাল, আনন্দজ দায়ের দুশ্চিন্তাহীন।

বীর্যমথিত চাদরও নিদাগ। কদমগাছে কাক দোল খাচ্ছে

রোদের তাত বাড়লে হাসনাহানা শুকিয়ে যাবে, কিন্তু

ফের আসবে শেষ বিকেলের বৃষ্টি, রাতে খিলখিলিয়ে

হাসবে হাসনুহানা।

বাকি দিনটা দলে পিষে দিতে

এমনই আশ্বাস চাই। মধ্যপথের পূরীষ কিংবা প্রস্রাবস্নাত

গ্রাফিটিও সহ্য হয়ে যায়। 

মোড়ের মাথার ঝাপসা 

কুণ্ডলী পাঁজরে আঙুল চালায়, নেমে আসে গলায়। 

শেষ-মেষ 

বেঁচকাঁটার ঘেরে মোরামে-পাথরে খোল-গোবরের ঘোল

ঢেলে ধুলো ছাঁকা ছাতিম বসানো হয়। 

নিঃশব্দ নিরালা

নিশ্চিন্ত মুনলাইট সোনাটায়।







Friday, June 13, 2025

Bhatmala - 01

 ১ নং ভাট



এক গা আলসেমি মেখে সকাল এল।

রোদকে ছুটি দিয়ে দিলাম; বললাম,

“কাল আসিস।” তাই অভিমানী

আকাশ থমথম মুখে ছলছল চোখে 

তাকিয়ে সারাদিন। 


শেষ দুপুরে

আকাশের মান ভাঙানিয়া বৃষ্টি

আমার আলসেমিও ধুয়ে দিল; 

নালানর্দমা দিয়ে বয়ে গিয়ে সে 

চলল নদীপথে সমুদ্রের দিকে।


আমি আর আকাশ তখন বৌদির দোকানে চা-ফুলুরি আর রাজা-উজির মারছি।


Sunday, September 6, 2015

অসীম, অপরিমেয়

অসীম পরজীবিতায়
সকালে, সন্ধেবেলায়
অপরিমিত চায়ে চুমুক
এখানে ওখানে রক্ত ঝরুক
তাকে ডাকুক বসন্ত
অস্তিত্ব জিহ্বান্ত
এই, ওই, সেই রাজনীতিক
ডাকুক ঐতিহাসিক
ঠিক কিংবা ভুল
তর্ক তর্জা চটুল
কেবল কথাকারি
ভাবলোকবিহারী
অবশ্য নিরুপায়
ভিড়ে মিশে যায়
মিছিলে, বাদুড় ঝোলায়
অসীম পরজীবিতায়
সকালে, সন্ধেবেলায়
অপরিমিত দায়ে দমিত
উথলোনো আবেগ অশমিত
তাকে ডাকুক বিক্ষোভ
অবশ জিহ্বাশোভ
আগন্ডা রাজনীতিক
ডাকুক ঐতিহাসিক
ঠিক কিংবা ভুল
তর্ক তর্জা চটুল
কেবল কথাকারি
ভাবলোকবিহারী
অবশ্য নিরুপায়
ভিড়ে মিশে যায়
মিছিলে, বাদুড় ঝোলায়
অসীম পরজীবিতায়
সকালে, সন্ধেবেলায়
অপরিমিত সায়ে ন্যুব্জ
বহনের ভারে কুব্জ
তাকে ডাকুক শোষিত
শ্রেষ্ঠত্ব স্বঘোষিত
স্বনামমত্ত রাজনীতিক
ডাকুক ঐতিহাসিক
ঠিক কিংবা ভুল
তর্ক তর্জা চটুল
কেবল কথাকারি
ভাবলোকবিহারী
অবশ্য নিরুপায়
ভিড়ে মিশে যায়
মিছিলে, বাদুড় ঝোলায়
অসীম পরজীবিতায়
সকালে, সন্ধেবেলায়

অপরিমিত

Thursday, January 22, 2015

কিছু নূতন কিছু পুরাতন

কবিতা লিখি কারণ
কিছু রক্তাভা জাগে আকাশের নীল গায়ে সাদা মেঘের চূড়ায়
কিছু রক্তের ছিটে সাগরে, মরুতে, বনে, পাহাড়ে, আমাদের গায়ে
রোদ্দুরে খুঁজি শৈত্য, স্নিগ্ধচ্ছায়, বৃষ্টিতে ভিজি যদি জ্বালা যায়

কিছু কথা এসব নিয়ে কলমে আসে কবিতা হয়ে
কিছু বোধ জাগে মুক্ত মগজে ব্যক্ত হতে চেয়ে
আগামীকে জানাতে চেয়ে লিখে যাই সব গুছিয়ে



সে



ফুরিয়ে যায় যায় দিনের আলো,
সুয্যি দিল ডুব। বলে গেল,
বিশ্বাস করো, সে আসছে
আহ্‌, হাওয়ায় হাওয়ায় ও কি
সুর বাজে! ওরাও বলে
সে আসছে, সে আসছে...
এমন সময় সামনে এলো
চাঁদ। ঝকঝকে মুখে ছোট্ট
মুচকি হাসি; বলল,
শুনলে তো; সে আসছে।
আমি গেলাম চটে; বসলাম
পিঠ ফিরিয়ে; কি যা তা
বল, এখনই সে আসবে?
সব্বাই মিলে আমায় বোকা
পেয়ে শুধু ইয়ার্কি ...
চাঁদ গভীর গলায় বলল
তুমি চেনো তাকে? দেখেছ
কখনও আগে? ঘাড়
শক্ত করে, অহঙ্কারিনী,
তেজের সাথে বলি, যার
সাথে প্রত্যেকটা মুহুর্তে
ওঠা-বসা তার প্রত্যেকটা
স্পন্দন আমি চিনি।
ওর উজ্জ্বল চোখের ভাষা,
ওর নরম ঠোঁটের গান গাওয়া,
ওর পাগল চুলের ওড়া,
আর ওর দুষ্টু হাসির
গালে, চোখে, চিবুকে, ঠোঁটে
সারা মুখে ছড়িয়ে পড়া
ঠিক তোমার মত; বুঝলে?
এমন সময় অখণ্ড নীরবতায়
চমকে উঠি। এ কী, আমি
যে জ্যোৎস্নায় ডুবে গেছি!
চারপাশে আছড়ে পড়া জ্যোৎস্না
আমাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে;
এ কি জ্যোৎস্নার সুগন্ধ?
এমন সময় চাঁদ নেমে এল,
বসল পাশে; ফিসফিস
করে বলল, সত্যিই চিনতে
পেরেছ তাকে? একদিন,
একবারও? কাঁপন লাগে;
লাজুক চোখ ধীরে ধীরে
তুলি; তাকাই চাঁদের দিকে।
সে বলল, কেউ মিথ্যে
বলে নি। এবার বিশ্বাস হল?




মা
এখনও স্বপ্নে নাড়তে থাকি কড়া
বলে না কেউ, আসছি, একটু দাঁড়া।
রেগে যেতে থাকি কেন দেবে না সাড়া

কখনও দেখি শীর্ণ হাতের চেটো
যেন ছুঁয়ে গেল আমার চোখ দুটো
যেন বলে গেল, আমি এই তো।

চোখের পাতা দিনের আলো ছুঁলে
বুঝতে পারি যদিও এসেছিলে
কোথাও গেছ, আজও যাও নি বলে।


খেলার মাঠ

দুই পাহাড়ের কোণাকুণি ঢালে আটকে আছে অনুভূমিক জমিটা;
বর্ষা, শীত এবং বসন্তেও সবুজ ঘাসের সোয়েটারটা পরে।

পায়ে বল নিয়ে আবালবৃদ্ধ নেচে বেড়ায় যখন তখন

মাঠেরও কি জানা আছে যে কে তার মালিক?



আবার জন্মদিন

জন্মদিন আসে যায়
বয়স জমে ওঠে তলে তলে
ঘড়ির টিটকিরি ছাপিয়ে
মাপতে থাকি হাতছাড়া মূহুর্তগুলো
মাপতে মাপতেই ফসকে যায় আরও অনেকগুলো
আর জন্মদিনও


নিউ মেক্সিকো


কিছু অনুরণনে মুগ্ধ ককলিয়া
কিছু রঙিন দৃশ্যে বিমোহিত কর্নিয়া
সাজানো শহরে পুয়েবলো বসবাস
সাজানো বাগান জুড়ে হার্পের অনুপ্রাস
অলিতে গলিতে আর সাইড ওয়াকে
হাতে বোনা চাদর রাখা থাকে থাকে
সার সার লোহার প্যাঁচা পরী লিচেনের ফুল
টার্কোয়িশ, বেরিল আর রোসি কোয়ার্জের দুল
কাঠ, হাড়, পালক চামড়া দিয়ে বানানো হার
নানান গয়না, বাঁশি, চাইম আর ড্রিম ক্যাচার
আলপাকাজ পঞ্চোতে পেরুর পরিচয়
গুয়াতেমালার চিহ্ন সজারু, লামায়
রাস্তা ধরে গ্যালেরিয়া পাশাপাশি
গির্জাতে ঐতিহ্য গাম্ভীর্য ঠাসাঠাসি
আদিম পাড়ার স্মৃতি ধূ ধূ বান্ডেলিয়র
আড়ালে রেখেছে টাফ স্টোন জমাট পাহাড়
একদিকে স্যান মিগ্যেল মর্চে রঙা ন্যাড়া
আরেক দিকে পাহাড় সবুজ বর্ফি চূড়া
মাঝে লস অ্যালামস ক্যানিয়ন দাঁড়িয়ে
ভিন্ন দিগন্তকে দিয়েছে মিলিয়ে
হাজার বছর রিও গ্রান্ডের খাতে বিলীন
ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝলক মাখা রোদ ঝলমল দিন








নিদারুণ অনিবার্যতায়
চলমান সকালটা দুপুরে এসে থমকে দাঁড়ায়
থকে যায়, কিংবা চলতে ভুলে যায়
তবু বসন্ত আসে যায়
নিদারুণ অনিবার্যতায়
শিমুলের লালিমায়
ফলেদোর নরম কমলায়
সোনালি কিংবা লালে বা সাদায়
পলাশে, আড়ালে উষ্ণতা ক্রমে তার জাল ছড়ায়
থকে যায়, কিংবা চলতে ভুলে যায়
নিদারুণ অনিবার্যতায়
তবু হেমন্ত আসে যায়
মেপলের লালিমায়
ওকের খয়েরি পাতায়
আবার শীতের খড়খড় গান শোনা যায়
আবারও সকালটা দুপুরে এসে থমকে দাঁড়ায়
থকে যায়, কিংবা চলতে ভুলে যায়
নিদারুণ অনিবার্যতায়
আজ মিশরে, কাল সিরিয়ায়
যৌবনের লালিমায়
অস্ত্রের আগুনে, খোঁচায়
পেরোলে শতক সব্বাই ভুলে যায়
শাসন আড়ালে নেতৃত্বের প্যাঁচে ক্ষমতা বাড়ায়
অক্লান্ত, তীক্ষ্ণ প্রবল পাহারায়
তবু ইতিহাস বদলে যায়
নিদারুণ অনিবার্যতায়
কখনো রাশিয়ায়
কখনো আমেরিকায়
স্থির সূত্রে পৃথিবী ওল্টায় পাল্টায়
অনেকটা দুর্বোধ্য হলেও কিছুটা তার বোঝা যায়
কেটে যায় শতক সব বোঝার আশায়
নিদারুণ অনিবার্যতায়
পৃথিবী ওল্টায় পাল্টায়



তবুও বিদ্রোহ
শপথের সাথে জেগে উঠি প্রত্যেক ভোরে,
আজ থেকে আমি শান্ত হব। জপি নিচু স্বরে।
তারপরে -
পায়ে পায়ে মাড়িয়ে যাই সহস্র বারুদকণা।
উড়ে এসে জুড়ে বসে গায়ে তার অনেকখানা।
অথচ ফুরোয় না।
পায়ের তলায় পুরু হতে থাকে বারুদের আস্তরণ,
ত্বকে কিন্তু পথের সোঁদা স্পর্শ চেয়েছিল মন।
এটাই অস্বস্তির কারণ।
সেই না পাওয়ার ক্ষোভ, অন্য নানা অজুহাত নিয়ে
চোখের সামনে উস্কানির পাহাড় তোলে উঁচিয়ে।
ছ্যাঁকা লাগে পায়ে।
তাই সম্বিত ফিরে আসে আর  ঘষাঘষি টের পাই
বারুদে বারুদে রাস্তার বুকে আর পায়ের পাতায়,
আগুন লেগে যায়।
অনিবার্য দহনে পুড়তে থাকে আমার চামড়া।
জালিকা দীর্ণ হয়ে ছোটে রক্তের ফোয়ারা।
বুঝি ইশারা।
এরপরে লাগবে ঘষা হাড়ে, কাঠামো ভাঙবে
আমি তো বিদ্রোহ চাই নি! ভেবে ভেবে
হতাশা মাথা কুটবে।
শান্তির খোঁজেই তো নেমেছিলাম চেনা পথে!
তাই কি বারুদের অনিবার্যতাকে পারিনি ঠেকাতে!


কবিতা নাকবিতায় রাত কেটে যায়

বিরক্তি আর হতাশায় থাপ্পড় গিয়ে পড়বি তো পড় কবিতার কানের গোড়ায়!

সে মাগীও ছিনাল বড়, হি হি করে দাঁত কেলিয়ে টোন করল, ও তোমার জোছনা নয়তো উপগ্রহক আলোকসম্পাত

ছেয়ে থাকা রাকার আলো মানে অন্ধকার বুকে হাত রেখে চুমু খেলে গালের ওপর দুফোঁটা মুক্ত রাখে দীর্ঘশ্বাস। বিয়ে করা বউয়ের মতো নিঃশব্দ নির্লিপ্তিতে বিছানার একধারে তুলতুলে ঘুমিয়ে ন্যাতা কবিতাও সোহাগের ওমে ঘনিয়ে ওঠে মুঠোয় শুঁয়োপোকার রোমের পরশ আলগা পেয়ে উড়ে যায় মশারির বুনট ভেঙে সবুজাভ সাদা পাখা নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে যায় আদিগন্ত অন্ধকারে।

ভোরের অপেক্ষায় সকাল ছ্যাঁকা দিয়ে যায়। তবু সে অন্ধকারেই অবয়ব পায় সূর্য, রশ্মি, কোলে নিয়ে সমুদ্র কিংবা বরফমাখা পাহাড়চূড়ো; কবিতারই অবরোধে অসঙ্গতিতে সয়ে যাওয়া অসহ্য অভিমানে।



প্রেমের কথা
প্রেমের কথা নতুন করে বলার কী আর আছে
সেসব কথা বড্ড ক্লিশে তোমার আমার কাছে
তবুও যখন নদীর হাওয়া জানলা ঠেলে আসে
হঠাৎ কেমন ভাল্লেগে যায় মন খারাপের পাশে
আবার যখন পূর্ণিমা রাত জ্যোৎস্না ঢেলে ভাসায়
তখন আবার একথালা চাঁদ তোমার কথাই ভাবায়
ভাবায় বলেই তুমি আমার রিংটোনে আজ বিশেষ
ভাবায় বলেই আমার মুঠোয় ভরলো এসএমএস
ডিজিট কথা পাহাড়প্রমাণ জমছে ক্রমে ক্রমে
কাগজ কলম বাতিল হলেও আলাপ যায় নি থেমে
যায় নি বলেই বাদলা সাঁঝে ব্যাকুলতা ডাকে

যায় নি বলেই ঝড়ের রাতে ভরসা ভরে ফাঁকে।

Readers Loved